আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, এক যৌথ বিবৃতিতে যুক্তরাষ্ট্র, বাহরাইন ও ইসরায়েল এ কথা জানিয়েছে। এই সমঝোতায় পৌঁছাতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট শুক্রবার ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ও বাহরাইনের বাদশাহ হামাদ বিন ইসা আল খলিফার সঙ্গে কথা বলেন। এরপরই দেশ দুটি কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনে সম্মত হয়। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প, এই ঘটনাকে আরেকটি ঐতিহাসিক বাঁক বদলের দিন হিসেবে অভিহিত করেন। তাঁরা মনে করেন, এর মধ্য দিয়ে মধ্যপ্রাচ্যে পুনরায় শান্তি প্রতিষ্ঠিত হবে।
গত মাসে প্রথম আরব দেশ হিসেবে ইসরায়েলের সঙ্গে আনুষ্ঠানিকভাবে সরাসরি কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করে আমিরাত। এর পর মুসলিম বিশ্বে এ নিয়ে নিন্দার ঝড় ওঠে। হোয়াইট হাউসে আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর দেশ দুটির মধ্যে এই চুক্তি স্বাক্ষর হবে বলে ট্রাম্প উল্লেখ করেন। ওই অনুষ্ঠানে বাহরাইনও যোগ দেবে বলে তিনি জানান।
হিব্রু ভাষায় দেওয়া এক বিবৃতিতে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু বলেন, আমিরাতের মতো বাহরাইনের সঙ্গে তাঁর দেশের সম্পর্ক স্থাপন শান্তি প্রতিষ্ঠায় কাজ করবে।
ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন দ্য প্যালেস্টাইন লিবারেশন অর্গানাইজেশন (পিএলও) এক বিবৃতিতে বলেছে, বাহরাইন-ইসরায়েল মধ্যকার এই চুক্তি ফিলিস্তিনিদের ওপর আরেকটি বিশ্বাসঘাতকতার ছুরিকাঘাত।