এই কৃতিত্বের মাধ্যমে তিনি ২০১৪ সালে অন্য দুই অধ্যাপকের করা বিশ্বরেকর্ডটি ভেঙে দেন, যারা ৭৩ দিনের রেকর্ড গড়েছিলেন। সিএনএনের এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে। প্রতিবেদন অনুসারে, জোসেফ ৫৫ বছর বয়সী একজন বায়োমেডিক্যাল প্রকৌশলী। তিনি ইউনিভার্সিটি অব সাউথ ফ্লোরিডাতে পড়ান এবং নিজেকে ‘ড. ডিপ সি’ বলে পরিচয় দেন।
অধ্যাপক দিতুরি যুক্তরাষ্ট্রের একমাত্র আন্ডারওয়াটার হোটেল জুলসের আন্ডারসি লজের এমারলাড লেগুনের নিচে তিন মাসের বেশি সময় কাটিয়েছেন বলে হোটেলের ওয়েবসাইট থেকে জানা গেছে।
মেরিন রিসোর্সেস ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশনের আয়োজিত ‘প্রজেক্ট নেপচুন-১০০’-এর অংশ হিসেবে এ প্রকৌশলী কাজটি গ্রহণ করেছিলেন। তিনি সমুদ্র সংরক্ষণের ওপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করেছেন।
এ ছাড়াও জোসেফ পরীক্ষা করেছেন, চরম চাপের দীর্ঘমেয়াদি এক্সপোজারে শরীর কিভাবে প্রতিক্রিয়া দেখায়।
ইউনিভার্সিটি অব সাউথ ফ্লোরিডা এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, অধ্যাপক তার শরীরে একটি পরিবর্তন আবিষ্কার করেছেন। চাপের কারণে তার উচ্চতা আধা ইঞ্চি কমে গেছে। বিশ্ববিদ্যালয় বলেছে, অন্যান্য প্রাথমিক ফলাফলগুলোতে তার ঘুম, কোলেস্টেরলের মাত্রা এবং প্রদাহের উল্লেখযোগ্য উন্নতি দেখা গেছে।
পরবর্তী কয়েক মাস ধরে অধ্যাপক দিতুরি ও তার দল মিশনের আগে, চলাকালীন এবং পরে সংগৃহীত তথ্য বিশ্লেষণ করবে। তিনি নভেম্বরে স্কটল্যান্ডে ওয়ার্ল্ড এক্সট্রিম মেডিসিন সম্মেলনে তার ফলাফল উপস্থাপন করার পরিকল্পনা করছেন।
ড. ডিপ সির নিজস্ব একাডেমিক অভিজ্ঞতা যদিও সামুদ্রিক বিজ্ঞানে নয়, তবে তিনি মার্কিন নৌবাহিনীতে ২৮ বছর চাকরি করার পর বায়োমেডিকেল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন। সে সময় তিনি ডাইভিং স্পেশাল অপারেশন অফিসার পদে উন্নীত হন।
অর্থসংবাদ/এসইউ