তবে মহামারির প্রকোপ কমে আসায় ২০২১ সালে ৫৯ হাজার আর ২০২২ সালে প্রায় ১০ লাখ মানুষ হজ পালনের সুযোগ পান। আর এ বছর করোনার সব বিধিনিষেধ তুলে নেওয়া হয়— ফলে ধারণা করা হয়েছিল, এবার আগের সব রেকর্ড ভেঙে সর্বোচ্চ সংখ্যক হাজি হজ করবেন।
এমনকি সৌদি আরবের হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা জানিয়েছিলেন, তাদের প্রত্যাশা এ বছর ২৫ লাখেরও বেশি মানুষ পবিত্র হজব্রত পালন করবেন। যা হবে নতুন ইতিহাস।
তবে যে প্রত্যাশা করা হয়েছিল সেটি পূরণ হয়নি। সৌদি আরবের পরিসংখ্যান ব্যুরো মঙ্গলবার (২৭ জুন) জানিয়েছে, এ বছর ১৫০টিরও বেশি দেশের— ১৮ লাখের বেশি হাজির পদচারণায় মুখরিত হয়েছিল আরাফাতের ময়দান।
সংস্থাটি এ ব্যাপারে বলেছে, এ বছর ১৮ লাখ ৪৫ হাজার ৪৫ জন পুরুষ ও নারী হজ করেছেন। যারমধ্যে বিদেশি ছিলেন ১৬ লাখ ৬০ হাজার ৯১৫ জন। সৌদির হাজি ছিলেন ১ লাখ ৮৪ হাজার ১৩০ জন।
অপরদিকে হাজিদের মধ্যে পুরুষ ছিলেন ৯ লাখ ৬৯ হাজার ৬৯৪ জন। নারী ছিলেন ৮ লাখ ৭৫ হাজার ৩৫১ জন।
এ বছর আরব বিশ্ব থেকে হজ করতে গেছেন ৩ লাখ ৪৬ হাজার ২১৪ জন। এশিয়ার দেশগুলো থেকে গেছেন ১০ লাখ ৫৬ হাজার ৩১৭ জন। আফ্রিকার দেশগুলো থেকে গেছেন ২ লাখ ২১ হাজার ৮৬৩ জন। অপরদিকে ইউরোপ, যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া এবং অন্যান্য অঞ্চলের ৩৬ হাজার ৫২১ জন হাজি আরাফাতের ময়দানে উপস্থিত ছিলেন।