চার দল নিয়ে গঠিত এ জোট সরকারের মধ্যে অভিবাসন নীতি নিয়ে কয়েকদিন ধরেই উত্তেজনা চলছিল। বিষয়টি নিষ্পত্তি করতে শুক্রবার (৭ জুলাই) বৈঠকে বসেন তারা। কিন্তু সেখানে ঐকমত্যে পৌঁছাতে পারেননি দলগুলোর নেতারা।
মাত্র দেড় বছর আগে রুট্টোর নেতৃত্বে চারটি দল জোট বেঁধে সরকার গঠন করেছিল।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, সরকার ভেঙে যাওয়ায় নভেম্বরে দেশটিতে নতুন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
প্রধানমন্ত্রী মার্ক রুট্টোর রক্ষণশীল দল ভিভিডি পার্টি দেশটিতে শরণার্থীদের স্রোত কমানোর চেষ্টা করছিল। কারণ শরণার্থীদের জন্য যেসব আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে সেগুলোতে ইতোমধ্যেই ধারণ ক্ষমতার চেয়ে বেশি মানুষ রয়েছেন। তবে প্রধানমন্ত্রীর দলের এ পরিকল্পনার বিরোধীতা করে আসছিল জোটের অন্য দলগুলো।
স্থানীয় সময় শুক্রবার সন্ধ্যায় সরকার ভেঙে যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেন প্রধানমন্ত্রী রুট্টো। মন্ত্রীসভার সঙ্গে জরুরি বৈঠক শেষে তিনি জানান, রাজা উইলেম-আলেক্সান্ডারের কাছে শনিবার পদত্যাগপত্র জমা দেবেন তিনি।
রুট্টো পদত্যাগ করলেও তার সরকারের মন্ত্রীসভাই আগামী নির্বাচনের আগ পর্যন্ত অন্তর্বতীকালীন সরকারের দায়িত্ব পালন করবে।
নেদারল্যান্ডসে গত বছর শরণার্থী হিসেবে আশ্রয় চেয়ে আবেদন করেছিলেন ৪৭ হাজার মানুষ। যা আগের বছরের তুলনায় তিন গুণ বেশি। আর এ বছর দেশটিতে আশ্রয় প্রত্যাশীর সংখ্যা ৭০ হাজারে পৌঁছাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এদিকে রুট্টো নেদারল্যান্ডসের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি সময় প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছেন। ২০১০ সালে জোট গঠন করে প্রথমবার প্রধানমন্ত্রী হন তিনি। এরপর আরও তিনবার জোট গঠন করেই ক্ষমতায় এসেছিলেন তিনি।
তবে শরণার্থী নিয়ে কয়েকদিন ধরে জোটের অন্যান্য দলগুলোর সঙ্গে তার বিবাধ চলে আসছিল। শুক্রবার এ নিয়ে বৈঠক করার পর জোটের অন্যান্য দলগুলো জানায়, অভিবাসন নীতি নিয়ে তারা কোনো ঐকমত্যে পৌঁছাতে পারেনি, তাই এ সরকারের মেয়াদ এখানেই শেষ হতে হবে।