যুক্তরাষ্ট্রে বেড়েছে বেকারত্বের হার

যুক্তরাষ্ট্রে বেড়েছে বেকারত্বের হার
চলতি বছরের আগস্টে যুক্তরাষ্ট্রে বেকারত্ব বেড়ে ৩ দশমিক ৮ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। তবে মজুরি বৃদ্ধির কারণে শ্রমবাজারে ইতিবাচক প্রভাব পড়েছে। কিছু ক্ষেত্রে কর্মী চাহিদা কমে গেলেও স্বাস্থ্যসেবা, রেস্তোরাঁ ও হোটেলের মতো খাতগুলোয় এখনো চাহিদা ব্যাপক। শ্রমবাজারের বিদ্যমান পরিস্থিতিতে ফেডারেল রিজার্ভ আপাতত সুদহার বাড়াবে না বলেই মনে করছেন অর্থনীতিবিদরা। খবর রয়টার্স।

মার্কিন শ্রম মন্ত্রণালয় থেকে সম্প্রতি প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুসারে, আগস্টে ৭ লাখ ৩৬ হাজার ব্যক্তি মার্কিন শ্রমবাজারে প্রবেশ করেছে। অংশগ্রহণের এ হার সাড়ে তিন বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। অর্থনৈতিক মন্থরতার কারণে মানুষ নতুন করে চাকরির প্রতি আগ্রহী হয়ে উঠছে। তবে অর্থনীতিতে নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টির সংখ্যা জুন ও জুলাইয়ের তুলনায় ১ লাখ ১০ হাজার কম। তার প্রধান কারণ ছিল নতুন চাকরি তৈরিতে সীমাবদ্ধতা। চাহিদা কমিয়ে আনার জন্য ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক সুদহার বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয়, যার পরিণতি হিসেবে শ্রমবাজারে শিথিলতা দেখা দেয়।

নন-ফার্ম খাতে আগস্টে নতুন নিয়োগ হয়েছে ১ লাখ ৮৭ হাজার। জুলাইয়ে যার সংখ্যা ছিল ১ লাখ ৫৭ হাজার। গত তিন মাসে চাকরি বৃদ্ধি ছিল গড়ে ১ লাখ ৫০ হাজার। তার আগের তিন মাসে চাকরি বৃদ্ধি ছিল গড়ে ২ লাখ ৩৮ হাজার। রয়টার্সের অর্থনীতিবিদদের পূর্বাভাসে দাবি করা হয়েছিল, নতুন চাকরি বাড়বে ১ লাখ ৭০ হাজার। প্রতি মাসে ১ লাখ লোকের কর্মসংস্থান দেশটির শ্রমবাজারকে গতিশীল রাখতে জরুরি বলে মনে করেন অর্থনীতিবিদরা।

শিল্প খাতে কর্মসংস্থান সৃষ্টি ছিল গত সাত মাসে সর্বোচ্চ। হলিউডে অভিনেতা ও অডিও শিল্পীদের আন্দোলনের মধ্য দিয়েই চলতি বছরে ১৭ হাজার কর্মসংস্থান কমেছে। ট্রাক পরিবহন প্রতিষ্ঠান ইয়েলোর দেউলিয়া হয়ে যাওয়ার ঘটনায় চাকরি হারায় ৩৭ হাজার। এককালীন চাকরি হারানোর এ পরিসংখ্যান বাদ দিলে যুক্তরাষ্ট্রে কর্মসংস্থান বাড়ে ২ লাখ ৪১ হাজার। বিনিয়োগপ্রতিষ্ঠান ব্ল্যাকরকের প্রধান বিনিয়োগ কর্মকর্তা রিক রাইডার বলেন, ‘‌শ্রমবাজারের পরিস্থিতি এখনো আমাদের প্রত্যাশিত মাত্রার মধ্যে আসেনি। তবে এতটুকু আন্দাজ করা যায়, স্বাভাবিক হতে যাচ্ছে পরিস্থিতি।’

কিছু ক্ষেত্রে কর্মী চাহিদা কমে গেছে, এ কথা সত্য। তবে স্বাস্থ্যসেবা, রেস্তোরাঁ, বার ও হোটেলের মতো পরিষেবা খাতগুলো এখনো কর্মী খোঁজার জন্য হন্যে হয়ে আছে। আগস্টের কর্মসংস্থান বেড়েছে মূলত স্বাস্থ্যসেবা খাতের চাহিদার কারণে। মাসটিতে ৭১ হাজার নতুন কর্মী যুক্ত হয়েছে। অ্যাম্বুলেন্স পরিষেবা, হাসপাতাল, নার্সিং ও আবাসিক চিকিৎসা বাবদ তৈরি হয়েছে নতুন কর্মসংস্থান।

অবকাশযাপন ও বিনোদনের ক্ষেত্রে নতুন নিয়োগের সংখ্যা ৪০ হাজার। শিল্প খাতে নতুন কর্মসংস্থান এখনো মহামারী-পূর্ব পরিস্থিতির তুলনায় কম। নির্মাণ খাতে নতুন চাকরি যুক্ত হয়েছে ২২ হাজার জন। অন্যদিকে শিল্পোৎপাদন খাতে নতুন যুক্ত কর্মসংস্থান ১৬ হাজার। পেশাজীবী ও ব্যবসা খাতে চাকরি বেড়েছে ১৯ হাজার।

অর্থসংবাদ/এমআই

আর্কাইভ থেকে

আরও পড়ুন

পেট্রোল-ডিজেলের নতুন দাম ঘোষণা
ভিসা ছাড়াই যুক্তরাজ্যে যেতে পারবে মুসলিম ৬ দেশ
মারা গেছেন পণ্ডিত ভবানী শঙ্কর
২০২৩ এ আলোচিত বিশ্বের সেরা ১০ ঘটনা
ব্রিকসে যোগ দেবে না আর্জেন্টিনা
নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে প্রস্তুত বিশ্ববাসী
১০ টাকাতেই মিলবে বই
বিশ্বের সবচেয়ে ধনী নারী ফ্রাঁসোয়া বেটেনকোর্ট
সৌদি আরবে আরো একটি স্বর্ণের খনির সন্ধান
শক্তিশালী ভূমিকম্পে কাঁপলো ইন্দোনেশিয়া