আগস্টে বৃহত্তর মধ্যপ্রাচ্য, আফ্রিকা ও পাকিস্তান মিলিয়ে প্রতি তিনটি গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চলের দুটিই মেনায় অবস্থিত, যা বিশ্বব্যাপী স্টার্টআপ ইকোসিস্টেমের ক্রমবর্ধমান ভূমিকাকে তুলে ধরেছে। তবে গত বছরের তুলনায় বছরের প্রথমার্ধে বিনিয়োগের পরিমাণ কমেছে। মধ্যপ্রাচ্য, আফ্রিকা ও পাকিস্তানে প্রাথম ছয় মাসে ১৯৩টি চুক্তির মাধ্যমে ১১০ কোটি ডলার পুঁজি এসেছে, যা গত বছরের তুলনায় ৪১ শতাংশ কম। বিনিয়োগ পতনের পরও সার্বিকভাবে বৈশ্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় ভালো অবস্থানে রয়েছে। আর্থিক মন্থরতার কারণে বেশ্বিক বিনিয়োগ ৫২ শতাংশ কমে গেছে।
যদিও মেনার লেনদেন ৪৯ শতাংশ কমে গেছে, যা আন্তর্জাতিক ২৫ শতাংশ লেনদেন কমার তুলনায় বড় পতন। প্রতিবেদনটিতে খাতভিত্তিক পারফরম্যান্স সম্পর্কেও তথ্য প্রকাশ করেছে। যাতে বলা হয়েছে, চুক্তির সংখ্যায় বছরে ৫১ শতাংশ পতন সত্ত্বেও আর্থিক প্রযুক্তি (ফিনটেক) প্রতিষ্ঠানগুলো বেশি বিনিয়োগ আকর্ষণ করেছে। ই-কমার্স ও খুচরা ব্যবসায় সৌদি আরবের ‘নানা অ্যান্ড ফ্লোওয়ার্ড’ উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বিনিয়োগ বাড়িয়েছে। বছরের প্রথমার্ধে খাতটিতে আসা মোট অর্থায়নের ৮০ শতাংশই করেছে নানা অ্যান্ড ফ্লোওয়ার্ড।
অন্যদিকে, পরিবহন ও লজিস্টিক খাত চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছে। খাতটিতে প্রায় ৯০ শতাংশ তহবিল সংকুচিত হয়েছে। তথ্য বলছে, ২০২২ সালের প্রথমার্ধের তুলনায় চুক্তির সংখ্যা অর্ধেকে নেমে গেছে। সামগ্রিকভাবে মেনার স্টার্টআপ ইকোসিস্টেম ঘুরে দাঁড়ানোর সম্ভাবনা রয়েছে, বিশেষ করে ফিনটেক ও ই-কমার্সের মতো খাত। আগস্টে দুটি গুরুত্বপূর্ণ প্রস্থান এ অঞ্চলের বিনিয়োগ বাড়ানোর ব্যাপারে আশাবাদী করে তোলে।
পাবলিক ইনভেস্টমেন্ট ফান্ডের মালিকানাধীন ফার্ম জাদা ফান্ড অব ফান্ডস কোং জিসিসি অঞ্চলে বিনিয়োগ বাড়াতে আলিফ ফান্ডের সঙ্গে চুক্তি করেছে। সৌদি আরবের ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোগগুলোর পরিসর বাড়াতে এ ফান্ড থেকে বিনিয়োগ করা হবে। জানা গেছে, আবুধাবি গ্লোবাল মার্কেটে অবস্থিত বিকল্প বিনিয়োগ ব্যবস্থাপক আলিফ ক্যাপিটাল ২৫ কোটি ডলার পর্যন্ত বিনিয়োগ এনে দেবে। জিসিসিভুক্ত অঞ্চলে উচ্চমানের ও মাঝারি ধরনের গুলোকে এ তহবিল দেবে আবুধাবি ডেভেলপমেন্টাল হোল্ডিং কোং। মূল্য সৃষ্টি ও ডিজিটাল রূপান্তরের ওপর জোর দেয়ার মতো আলিফের কৌশলগুলোর সঙ্গে জাদার লক্ষ্যগুলোর মিল রয়েছে।
অর্থসংবাদ/এসএম