নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যক্তির বরাত দিয়ে গতকাল বুধবার (৬ সেপ্টেম্বর) ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল জানায়, সাম্প্রতিক সপ্তাহে কর্মক্ষেত্রে কর্মকর্তাদের বিদেশী ডিভাইস ব্যবহার না করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
বিদেশী প্রযুক্তির ওপর নির্ভরতা কমাতে, সাইবার নিরাপত্তা বাড়াতে ও চীনের সীমানা জুড়ে সংবেদনশীল ডেটা প্রবাহকে সীমিত করার বেইজিংয়ের চলমান প্রচেষ্টার অংশ এটি। তবে নির্দেশ কতটা বিস্তৃত তা স্পষ্ট নয়।
প্রতিবেদনটি ওয়াল স্ট্রিট স্টক ইনডেক্সে ব্যাপকভাবে প্রভাব ফেলেছে। এর পরপরই গতকাল অ্যাপলের শেয়ার দরে ৩ দশমিক ৬ শতাংশ পতন ঘটে।
চীন অ্যাপলের অন্যতম বড় বাজার ও ১৯ শতাংশ বিক্রি হয় দেশটিতে। এছাড়া দেশটির লাখ লাখ কর্মী এ সংস্থার ওপর নির্ভরশীল। চীনে রয়েছে আইফোনের শীর্ষ সরবরাহকারী ফক্সকনের কারখানা।
আরও পড়ুন: চীনা সরকারি কর্মকর্তাদের আইফোন ব্যবহার নিষিদ্ধ
গতকাল বেশ কয়েকজন বিশ্লেষক বলেছেন, মার্কিন প্রযুক্তির ওপর নির্ভরতা হ্রাসের প্রেক্ষাপটে এ পদক্ষেপ নিয়েছে চীন। যার অর্থ হলো, কোনো মার্কিন সংস্থাকে ছাড় দিতে ইচ্ছুক নয় বেইজিং।
চীন-মার্কিন উত্তেজনা বেড়ে যাওয়ায় এ নিষেধাজ্ঞা চীনে পরিচালিত বিদেশী কোম্পানিগুলোর মধ্যে উদ্বেগ সৃষ্টি করতে পারে।
আগামী সপ্তাহে আইফোনের নতুন সংস্করণ বাজারে আসার কথা। এতে চীনের পদক্ষেপ প্রভাব ফেলতে পারে।
ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের প্রতিবেদনে অ্যাপল ছাড়াও অন্য ফোন নির্মাতার নাম উল্লেখ করা হয়নি। তবে এ বিষয়ে কোনো পক্ষই মন্তব্য করেনি।
যুক্তরাষ্ট্রের পর টেক জায়ান্টটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাজার চীন। এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল ও বিভিন্ন রাজ্যে চীনের মোবাইল ডিভাইস ও অ্যাপ নিষিদ্ধ করা হয়। এর মধ্যে রয়েছে জনপ্রিয় মোবাইল ব্র্যান্ড হুয়াওয়ে ও ভিডিও শেয়ারিং প্লাটফর্ম টিকটক। এবার চীনের পক্ষ থেকে অনুরূপ ঘোষণা এলো।
এদিকে গত মাসে ডিভাইস ব্যবহারে কর্মীদের ওপর নতুন নিষেধাজ্ঞা দেয় রাশিয়ার ডিজিটাল ডেভেলপমেন্ট মন্ত্রণালয়। এক নির্দেশনায় বলা হয়, দাপ্তরিক কাজে তারা আইফোন ও আইপ্যাড ব্যবহার করতে পারবেন না।
অর্থসংবাদ/এমআই