জ্বালানি তেলের বৈশ্বিক চাহিদা বৃদ্ধির পূর্বাভাস কমালো আইইএ

জ্বালানি তেলের বৈশ্বিক চাহিদা বৃদ্ধির পূর্বাভাস কমালো আইইএ

আগামী বছরের জন্য অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের বৈশ্বিক চাহিদা পূর্বাভাস কমিয়েছে ইন্টারন্যাশনাল এনার্জি এজেন্সি (আইইএ)। বৈশ্বিক অর্থনৈতিক দুরবস্থা ও জ্বালানি ব্যবহারে দক্ষতা উন্নয়নের কারণে চাহিদা প্রবৃদ্ধি মন্থর হবে বলে মনে করছে সংস্থাটি।


চলতি মাসের প্রতিবেদনে আইইএ অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের চাহিদা প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস সংশোধন করেছে। বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক উদ্বেগ ও বিদ্যুচ্চালিত গাড়ির ব্যবহার বাড়ায় জ্বালানিটির চাহিদা পূর্ব প্রাক্কলিত মাত্রায় বাড়বে না বলে মনে করে সংস্থাটি। সংশোধিত প্রাক্কলনে আইইএ বলছে, ২০২৪ সালে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের চাহিদার পরিমাণ বাড়তে পারে বর্তমানের তুলনায় দৈনিক ৮ লাখ ৮০ হাজার ব্যারেল। এর আগে আগামী বছর দৈনিক ১০ লাখ ব্যারেলের চাহিদা বৃদ্ধির কথা জানিয়েছিল সংস্থাটি।


প্যারিসভিত্তিক সংস্থাটি ২০২৩ সালের অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের বার্ষিক পূর্বাভাস বাড়িয়েছে দৈনিক এক লাখ ব্যারেল। আইইএ বলছে, চলতি বছরে জ্বালানিটির গড় চাহিদার পরিমাণ হতে পারে দৈনিক ২৩ লাখ ব্যারেলে। এর আগে এ বছর ২২ লাখ ব্যারেলের চাহিদার পূর্বাভাস দিয়েছিল সংস্থাটি।


অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দাম বাড়াতে ওপেক ও ওপেক প্লাস জোট ২০২২ সাল থেকেই উত্তোলন কমাতে শুরু করেছে। গত ৫ সেপ্টেম্বর সৌদি আরব ও রাশিয়া ঘোষণা করে, তারা ২০২৩ সালের শেষ পর্যন্ত দৈনিক ১৩ লাখ ব্যারেল করে জ্বালানি তেল সরবরাহ কমানো অব্যাহত রাখবে। এ খবরে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের আন্তর্জাতিক বাজার আদর্শ ব্রেন্টের দাম ১০ মাসের সর্বোচ্চে ওঠে।


আইইএ বলছে, ‌যদি জানুয়ারিতে নতুন করে আর উত্তোলন কমানো না হয়, তাহলে বাজারে ভারসাম্য আসতে পারে ও উদ্বৃত্ত হতে পারে। এতে অপরিশোধিত জ্বালানি তেল মজুদকারী গুদামগুলো আবার পূর্ণ হয়ে যাবে।


মস্কো অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের সরবরাহ কমানোর ঘোষণা দিলেও আইইএর প্রাক্কলনে দেখা গেছে, সেপ্টেম্বরে রাশিয়া দৈনিক ২ লাখ ৫০ হাজার ব্যারেল রফতানি বাড়িয়েছে। এ সময় দেশটির পরিশোধিত ও অপরিশোধিত মিলিয়ে রফতানির পরিমাণ দৈনিক ৪ লাখ ৬০ হাজার ব্যারেল বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭৬ লাখ ব্যারেলে।


গত বছর আইইএ এক পূর্বাভাসে বলেছিল, কঠোর পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞা রুশ জ্বালানি তেল রফতানিতে ধস নামাবে। কিন্তু সংস্থাটির সাম্প্রতিক তথ্য বলছে, ইউক্রেনের সঙ্গে যুদ্ধে জড়ানোয় রাশিয়ার রফতানি ও রাজস্ব কমানোর চেষ্টায় পশ্চিমারা খুব বেশি সফল হয়নি।


ডলারের উচ্চমূল্যসহ অর্থনৈতিক মন্থরতার কারণে চলতি মাসের শুরুর দিকে জ্বালানি তেলের দাম কমতে শুরু করে। বৈশ্বিক জ্বালানি তেল উত্তোলনে শীর্ষ অঞ্চল মধ্যপ্রাচ্যে সংঘর্ষ আরো ব্যাপক রূপ নিলে জ্বালানি তেলের সরবরাহ ব্যাহত হতে পারে। এমন আশঙ্কায় বাজার আদর্শ ব্রেন্টের দাম ৩ শতাংশেরও বেশি বেড়ে যায়। তবে এখন পর্যন্ত সরবরাহের ওপর সরাসরি কোনো প্রভাব পড়েনি। আইইএ জানিয়েছে, পর্যাপ্ত সরবরাহ নিশ্চিত করতে সংস্থাটি কাজ করতে প্রস্তুত রয়েছে।


অর্থসংবাদ/এসএম

আর্কাইভ থেকে

আরও পড়ুন

পেট্রোল-ডিজেলের নতুন দাম ঘোষণা
ভিসা ছাড়াই যুক্তরাজ্যে যেতে পারবে মুসলিম ৬ দেশ
মারা গেছেন পণ্ডিত ভবানী শঙ্কর
২০২৩ এ আলোচিত বিশ্বের সেরা ১০ ঘটনা
ব্রিকসে যোগ দেবে না আর্জেন্টিনা
নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে প্রস্তুত বিশ্ববাসী
১০ টাকাতেই মিলবে বই
বিশ্বের সবচেয়ে ধনী নারী ফ্রাঁসোয়া বেটেনকোর্ট
সৌদি আরবে আরো একটি স্বর্ণের খনির সন্ধান
শক্তিশালী ভূমিকম্পে কাঁপলো ইন্দোনেশিয়া