রাজধানীতে আজ শনিবার দুদল পাল্টা-পাল্টি সমাবেশ করবে। আর এরই মধ্যে বিএনপির এক দফা আন্দোলনে যুক্ত হয়েছে গত ফেব্রুয়ারিতে যুগপৎ আন্দোলন থেকে সরে যাওয়া জামায়াতে ইসলামী।
ধর্মভিত্তিক দলটি অনুমতি পাবে না জেনেও শনিবার রাজধানীর মতিঝিল শাপলা চত্বরে মহাসমাবেশের ঘোষণা দিয়েছে। রাজধানীর অন্যতম প্রধান এই বাণিজ্যিক এলাকায় রয়েছে অনেক গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা ও কি পয়েন্ট ইন্সটলেশন বা কেপিআইভূক্ত প্রতিষ্ঠান।
মহাসমাবেশের অনুমতি চেয়ে জামায়াতের পক্ষ থেকে ডিএমপি কমিশনারকে চিঠি দেওয়া হয়েছিল। তবে আগেই ডিএমপি জানিয়েছিল জামায়াতকে অনুমতি দেওয়া হবে না। শুক্রবারও ডিএমপির সভা শেষে সাংবাদিকদের জানানো হয়, জামায়াতকে মহাসমাবেশের অনুমতি দেওয়া হবে না।
অবশ্য বৃহস্পতিবার সংবাদ সম্মেলন করে জামায়াতের ভারপ্রাপ্ত আমির মুজিবুর রহমান বলেছেন, অনুমতি না পেলেও তাঁরা মহাসমাবেশের প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
এমন এলাকায় রাজনৈতিক সমাবেশ পালনের ব্যাপারে আদালতের নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। এরপরও যদি কেউ বা কোনো দল সভা-সমাবেশ কিংবা রাজনৈতিক কর্মসূচী পালন করে সেই আশঙ্কা থেকে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করছে বাংলাদেশ ব্যাংক। নিরাপত্তা নির্বিঘ্ন করতে বিশেষ নির্দেশনাও দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, রাজনৈতিক সংঘাত সহিংসতার আড়ালে ব্যাংকের শাখা ও এটিএম বুথে দুষ্কৃতিকারিদের হামলা ও লুটের মতো ঘটনা এড়াতে ব্যাংকগুলোকে সতর্ক থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বিশেষ করে মতিঝিল, পল্টন ও গুলিস্তান এলাকায় অবস্থিত ব্যাংকগুলোর শাখা ও এটিএম বুথে নিরাপত্তা বাড়ানোর পরামর্শ দেয়া হয়েছে। একই সঙ্গে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মেজবাউল হক গণমাধ্যমকে বলেন, ‘কেপিআইভুক্ত প্রতিষ্ঠান হওয়ায় এমনিতেই কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নিরাপত্তা ব্যবস্থা অনেক ভালো। রাজনৈতিক সংঘাত-সহিংসতার সময়ও বিশেষ ব্যবস্থায় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কাজ করে নিজস্ব নিরাপত্তা টিম। আমাদের প্রয়োজনীয় সংখ্যক নিরাপত্তাকর্মী রয়েছে। ব্যাংকের অভ্যন্তরে পুলিশের একটি বড় ইউনিট রয়েছে। বরাবরের মতো এবারো আমরা যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রস্তুত আছি।’
অর্থসংবাদ/এসএম