দেশটির ন্যাশনাল সিসমোলজিক্যাল সেন্টার জানিয়েছে যে রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৬ দশমিক ৪। তবে জার্মান রিসার্চ সেন্টার ফর জিওসায়েন্সেস (জিএফজেড) মাত্রা নামিয়ে ৫ দশমিক ৭ করেছে এবং মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা বলছে ৫ দশমিক ৬ মাত্রা।
স্থানীয় কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থলের কাছাকাছি এলাকায় যোগাযোগ সম্ভব হয়নি। পার্বত্য জেলার গ্রামগুলো দূরবর্তী পাহাড়ে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে। ওই এলাকার জনসংখ্যা এক লাখ ৯০ হাজার।
জাজারকোটের স্থানীয় কর্মকর্তা হরিশ চন্দ্র শর্মা জানান, তার জেলায় কমপক্ষে ৩৪ জন নিহত হয়েছেন। আর পার্শ্ববর্তী রুকুম জেলার পুলিশ কর্মকর্তা নামরাজ ভট্টরাই কমপক্ষে ৩৫ জন নিহতের খবর নিশ্চিত করেছেন।
এ পুলিশ কর্মকর্তা জানান, উদ্ধার ও অনুসন্ধান দলগুলো ভূমিধসের কারণে সড়ক ব্যবহার করতে পারছে না। তাদের পৌঁছাতে হলে অবরুদ্ধ সড়ক পরিষ্কার করতে হবে।
ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল রামিডান্ডা এলাকায়। তবে সেখানে এখনো স্থানীয় কর্তৃপক্ষ পৌঁছাতে পারেনি।
এ প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে নেপালের প্রধানমন্ত্রী পুষ্প কমল দাহাল গভীর দুঃখপ্রকাশ করেছেন। নিরাপত্তা সংস্থাকে তাৎক্ষণিক উদ্ধার ও ত্রাণ তৎপরতা শুরুর নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
অর্থসংবাদ/এমআই