রাজস্ব বিভাগ জানায়, দেশটির রাজস্ব আয় এ অর্থবছরের প্রত্যাশার চেয়ে প্রায় ৩০০ কোটি ডলার কম হবে। এ বছরের বাজেট ঘাটতি জিডিপির ৫ শতাংশের কাছাকাছি। বিশ্বব্যাপী সুদহার বাড়ায় দক্ষিণ আফ্রিকার ঋণ খরচও বেড়ে ৯ দশমিক ৫ শতাংশে পৌঁছেছে, যা এ বছরের শুরুতে ৮ দশমিক ৩ শতাংশ ছিল। সাম্প্রতিক বছরগুলোয় দক্ষিণ আফ্রিকায় বিদেশী প্রতিষ্ঠানে ঋণপত্র খোলা উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে। এ কারণে স্থানীয় বিনিয়োগকারীরা ঋণ নেয়ার ব্যাপারে আরো বেশি সতর্ক।
দেশটির অর্থমন্ত্রী এনোক গডংওয়ানা বলেন, ‘আফ্রিকার বৃহত্তম অর্থনীতির ওপর ক্রমবর্ধমান আর্থিক চাপ দেশটির জনগণের সম্পদের ওপর প্রভাব ফেলবে। এ কারণে সরকারের আকার ও কাঠামো পুনর্বিন্যাস করার পদক্ষেপ নেয়া হবে।
আগামী বছর দেশটিতে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। যেখানে দেশটির প্রেসিডেন্ট সিরিল রামাফোসা ও তার দল আফ্রিকান ন্যাশনাল কংগ্রেস সংখ্যাগরিষ্ঠতা ধরে রাখার জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতার মুখে পড়বে। মে বা জুনে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। দক্ষিণ আফ্রিকার গণতন্ত্রের ৩০ বছরের মধ্যে প্রতিযোগিতাটিকে দলের সবচেয়ে কঠিন পরীক্ষা হিসেবে দেখা হচ্ছে।
এসকম ও ট্রান্সনেটের মতো রাষ্ট্রীয় একচেটিয়া সংস্থাগুলোর ক্ষমতা কমার কারণে এবং লজিস্টিক সংকট এ বছর দক্ষিণ আফ্রিকার প্রবৃদ্ধিকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে।
অর্থসংবাদ/এমআই