পুরস্কার জয়ীরা হলেন, অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থ বিজ্ঞানী রজার পেনরোস, মার্কিন জ্যোতির্বিদ রেইনহার্ড গেঞ্জেল ও জার্মান পদার্থবিদ আন্দ্রিয়া ঘেজ। রয়্যাল সুইডিশ একাডেমি বলছে, এই তিন বিজ্ঞানী তাদের গবেষণার মাধ্যমে কৃষ্ণ গহবর সম্পর্কে নতুন বোঝাপড়া সামনে এনেছেন।
দ্য রয়্যাল সুইডিশ একাডেমি বলেছে, আপেক্ষিকতাবাদের সাধারণ তত্ত্বটি কৃষ্ণ গহ্বরের গঠনের দিকে পরিচালিত করে। রয়্যাল সুইডিশ একাডেমির জেনারেল সেক্রেটারি গোরান কে. হ্যানসন বলেছেন, মহাবিশ্বের সবচেয়ে অন্ধকারাচ্ছন্ন গোপন রহস্য উন্মোচনে সহায়তা করবে পুরস্কারজয়ীদের গবেষণা।
এই আবিষ্কারের জন্য এবারের পদার্থবিদ্যার নোবেলের অর্ধেক অর্থমূল্য পাবেন বিজ্ঞানী পেনরোজ। এছাড়া বাকি অর্ধেক পাবেন গেঞ্জেল এবং ঘেজ। মহাবিশ্বের ছায়াপথের কেন্দ্রস্থলে তারার কক্ষপথে অদৃশ্য এবং অত্যন্ত ভারী বস্তুকণা আবিষ্কারের গবেষণা করেছেন এ দুই বিজ্ঞানী।
বিগ ব্যাং থেকে শুরু করে আজকের মহাবিশ্বের কাঠামো সম্পর্কে নতুন বোঝাপড়া এবং মিল্কি ওয়েতে সূর্যের মতো নক্ষত্রকে প্রদক্ষিণরত এক্সোপ্লানেটের অস্তিত্বের সন্ধান সামনে এনে গত বছর পদার্থে নোবেল পুরস্কার পান প্রিন্সটন বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থ বিজ্ঞানী জেমস পিবলস, জেনেভা বিশ্ববিদ্যালয়ের মাইকেল মেয়র ও ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিদ দিদিয়ের কুয়েলজ।
গত ৫৬ বছরের মধ্যে ২০১৮ সালে প্রথম নারী হিসেবে পদার্থবিদ্যায় নোবেল পুরস্কার পেয়েছিলেন কানাডার পদার্থবিজ্ঞানী ডোনা স্ট্রিকল্যান্ড। এর আগে, ১৯০৩ সালে পদার্থবিদ্যায় প্রথম নারী হিসেবে নোবেল পুরস্কার পান ম্যারি কুরি।
২০১৮ সালের পর এক বছরের বিরতিতে আবারও চলতি বছরে পদার্থে চতুর্থ নারী হিসেবে নোবেল পেলেন জার্মান পদার্থবিদ আন্দ্রিয়া ঘেজ। সর্বশেষ ১৯৬৩ সালে জার্মান বংশোদ্ভূত মার্কিন তাত্ত্বিক পদার্থবিজ্ঞানী মারিয়া গ্যোপের্ট-মায়ার দ্বিতীয় নারী হিসেবে পদার্থের নোবেল পান।
নোবেল কমিটিগুলোর ঘোষণা অনুযায়ী, বুধবার (৭ অক্টোবর) রয়্যাল ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স থেকে রসায়নবিদ্যায়, বৃহস্পতিবার (৮ অক্টোবর) দ্য রয়্যাল সুইডিশ একাডেমি থেকে সাহিত্যে, শুক্রবার (৯ অক্টোবর) নরওয়ের রাজধানী অসলো থেকে নরওয়েজিয়ান নোবেল কমিটি শান্তিতে এবং সোমবার (১২ অক্টোবর) দ্য রয়্যাল ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স অর্থনীতিতে নোবেলজয়ী ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের নাম প্রকাশ করবে।