পারিবারিক দাতব্য সংস্থাগুলোয় ৮৬ কোটি ৬ লাখ ডলার দান করেছেন মার্কিন ধনকুবের ওয়ারেন বাফেট। সম্প্রতি বার্কশায়ার হ্যাথাওয়ের স্টক থেকে পারিবারিক চারটি সংস্থায় এ অর্থ দান করেন তিনি। দান করার ঘোষণা দিয়ে ওয়ারেন বাফেট বলেন, ‘আমি ভালো অনুভব করছি।’ খবর ফ্রি মালয়েশিয়া টুডে।
একটি বিবৃতিতে সংস্থাটি জানায়, সুসান থম্পসন বাফেট ফাউন্ডেশনকে বার্কশায়ারের ১৫ লাখ বি শ্রেণীর শেয়ার দান করেছেন ওয়ারেন বাফেট। এটি তার প্রয়াত প্রথম স্ত্রীর নামে প্রতিষ্ঠিত। সংস্থাটি প্রজনন স্বাস্থ্য নিয়ে কাজ করে।
সংস্থাটি আরো ৯ লাখ বি শ্রেণীর শেয়ার হাওয়ার্ড জি বাফেট ফাউন্ডেশন, শেরউড ফাউন্ডেশন এবং নোভো ফাউন্ডেশনকে সমানভাবে দান করছে। দাতব্য এ সংস্থাগুলো পরিচালনা করেন ওয়ারেন বাফেটের তিন সন্তান হাওয়ার্ড বাফেট, সুসান বাফেট ও পিটার বাফেট।
ওয়ারেন বাফেট তার শেয়ারহোল্ডারদের কাছে সম্প্রতি এক বিরল বার্তা দিয়েছেন। তিনি প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, তার সম্পদের ৯৯ শতাংশের বেশি দাতব্য প্রতিষ্ঠানে যাবে। এক্ষেত্রে তার সন্তানরা ইচ্ছার বাস্তবায়নকারী হিসেবে কাজ করবে।
এর আগে তিনি বলেছিলেন, বার্কশায়ার স্থায়ী করার জন্য প্রতিষ্ঠা করা এবং এটি ভালো হাতে থাকবে। যদিও বছরের পর বছর ধরে বাফেট তার নন-বার্কশায়ার দায়িত্বগুলো কমিয়েছেন। ২০১২ সালে তার প্রোস্টেট ক্যান্সার ধরা পড়ার পরও তিনি প্রকাশ্যে পদত্যাগের ইচ্ছা প্রকাশ করেননি।
জাঙ্ক ফুড ও চিনিযুক্ত পানীয়ের প্রতি ব্যাপক দুর্বলতা থাকা সত্ত্বেও সুস্থ থাকার সাফল্যের কথা উল্লেখ করেন ওয়ারেন বাফেট।
তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি, দীর্ঘ আয়ুর পরিপ্রেক্ষিতে সুখ একেক সময় একেক রকম। আমি যখন সুস্বাদু আইসক্রিম খাই বা কোক পান করি তখন আমি বেশ খুশি হই।’
৬১ বছর বয়সী গ্রেগ অ্যাবেল বর্তমানে বার্কশায়ারের ভাইস চেয়ারম্যান পদে আছেন। তিনি ওয়ারেন বাফেটের উত্তরসূরি হিসেবে বার্কশায়ারের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) হতে যাচ্ছেন। একই সময় নন-এক্সিকিউটিভ চেয়ারম্যান হবেন হাওয়ার্ড বাফেট। বাফেট লিখেছেন, উত্তরাধিকারী হওয়ার জন্য আমাদের সঠিক সিইও এবং উপযুক্ত পরিচালনা পর্ষদ রয়েছে।
ফোর্বস ম্যাগাজিনের তথ্য মতে, ওয়ারেন বাফেট বিশ্বের পঞ্চম ধনী ব্যক্তি। তার সম্পদের পরিমাণ ১২ হাজার ৫০ কোটি ডলার। ২০০৬ সাল থেকে তিনি তার সম্পদের অর্ধেকেরও বেশি স্টক পারিবারিক দাতব্য সংস্থা এবং বিল ও মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশনে দান করেছেন। তার অনুদানের পরিমাণ ছিল প্রায় ৫ হাজার ২০০ কোটি ডলার। যার মধ্যে প্রায় ৩ হাজার ৯০০ কোটি ডলার দিয়েছেন গেটস ফাউন্ডেশনে। বাফেটের পারিবারিক দাতব্য সংস্থাগুলোর মধ্যে হাওয়ার্ড জি বাফেট ফাউন্ডেশন ক্ষুধা দূর, সংঘাত প্রশমিত, মানব পাচার প্রতিরোধ ও জননিরাপত্তার উন্নতিতে কাজ করে। শেরউড ফাউন্ডেশন নেব্রাস্কায় অলাভজনক সংস্থাগুলোকে সহায়তা এবং নোভো ফাউন্ডেশন তরুণী ও নারী স্বাস্থ্য নিয়ে কাজ করে।