বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক জরিপে এমনটি উঠে এসেছে। গত শুক্রবার জরিপ প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হয়। এতে বলা হয়, বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ কিছু ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান মনে করছে, সুদের হার বেড়ে যাওয়া, জ্বালানির উচ্চমূল্য ও বিশ্বের সবচেয়ে বড় অর্থনীতির দুই দেশে অর্থনীতির শ্লথগতির প্রভাব পড়বে বিশ্ব অর্থনীতিতে।
রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ করে অর্থনীতির ধীরগতি মোকাবিলার চেষ্টা চলছে যুক্তরাষ্ট্রে। তবে দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংক ফেডারেল রিজার্ভের সংকোচনমূলক মুদ্রানীতিকে ঘিরে অনিশ্চয়তাও রয়েছে। অন্যদিকে চীনের প্রবৃদ্ধির গতি দুর্বল হচ্ছে। সেখানকার কোম্পানিগুলো উৎপাদনের জন্য সাশ্রয়ী খরচের বিকল্প জায়গা খুজছে।
উল্লেখ্য, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএফএম) হিসাবে, ২০২২ সালে বিশ্ব অর্থনীতিতে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৩ দশমিক ২ শতাংশ। এদিকে বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় বেশ কয়েকটি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান সম্প্রতি ২০২৪ সালের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি নিয়ে তাদের পূর্বাভাস প্রকাশ করেছে। এদের মধ্যে গোল্ডম্যান স্যাকস বলেছে, আগামী বছর বিশ্ব অর্থনীতির প্রবৃদ্ধি হতে পারে ২ দশমিক ৬ শতাংশ। ইউবিএস, বার্কলেস ও ব্যাংক অব আমেরিকা গ্লোবাল রিসার্চও তা-ই মনে করছে।
তবে মর্গান স্ট্যানলির মতে, আগামী বছর বিশ্ব অর্থনীতিতে প্রবৃদ্ধি এর চেয়ে কিছুটা বেশি হবে। তাদের পূর্বাভাস হচ্ছে, প্রবৃদ্ধির হার দাঁড়াতে পারে ২ দশমিক ৮ শতাংশ। অবশ্য প্রতিষ্ঠানটির মতে, ২০২৪ সালে যুক্তরাজ্যে ঋণাত্মক প্রবৃদ্ধি হতে পারে। আগামী বছরের জন্য বিশ্ব অর্থনীতিতে সবচেয়ে কম প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস দিয়েছে জেপি মর্গ্যান। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক বিনিয়োগ ব্যাংকটির হিসাবে, প্রবৃদ্ধি নেমে আসতে পারে ২ দশমিক ২ শতাংশে।
ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো যে পূর্বাভাস দিয়েছে তাতে দেখা যায়, আগামী বছর যুক্তরাষ্ট্রে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হার ১ দশমিক ৪ থেকে ২ শতাংশের মধ্যে থাকবে। চীনে প্রবৃদ্ধি হবে ৪ দশমিক ২ থেকে ৪ দশমিক ৯ শতাংশের মধ্যে। আর ইউরো অঞ্চলে প্রবৃদ্ধি ১ শতাংশের নিচেই থাকবে। এ ছাড়া এশিয়ার দেশ ভারতে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ৬ শতাংশের আশপাশে থাকবে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে তারা।
অর্থসংবাদ/এমআই