দুই বছর পর ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরেছেন আন্দ্রে রাসেল। ফিরেই হয়েছেন ম্যাচসেরা। ক্যারিয়ারে কখনোই অফ ফর্মের কারণে দলের বাইরে ছিলেন না। মূলত ফ্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটের প্রতি বেশি আকর্ষণ থাকায় জাতীয় দলে অনিয়মিত হয়েছেন। এবার ফিরলেও আর খুব বেশি দিন আন্তর্জাতিক ক্রিকেট চালিয়ে যাবেন না, এমনটাই আভাস দিয়েছেন রাসেল।
নিজের অবসর প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বিশ্বকাপটা আমার কেমন যায়, এর ওপর এটি (অবসর) নির্ভর করছে। এখনও অনেক কিছুই দেওয়ার আছে আমার। তবে কোচের সঙ্গে আমার যে আলোচনা হয়েছে, আমি বলেছি যে বিশ্বকাপ শেষেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে সরে যাব। তবে এরপরও যদি তাদের প্রয়োজন পড়ে আমাকে, তাহলে অবসর থেকে ফিরে আসব।
এই পরিকল্পনাই আমার আছে আপাতত। এত এত তরুণ প্রতিভা এখন আছে আমাদের, আমার মতোই অনেকে আছে। কখনও কখনও এই উপলব্ধি প্রয়োজন যে সামনেই বয়স হয়ে যাবে ৩৬। তরুণদের তাই সুযোগ দেওয়া প্রয়োজন। তবে এরপরও যদি ওয়েস্ট ইন্ডিজের প্রয়োজন পড়ে আমাকে, তাদের হয়ে ঘাম ঝরাতে আমি প্রস্তুত থাকব।
ধুঁকতে থাকা উইন্ডিজ ক্রিকেটে ফিরেই ইংল্যান্ডের বিপক্ষে জয় এনে দিয়েছেন। টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটের জন্যই ফিরিয়ে আনা হয়েছিল তাকে। আর ফিরে এসেই নিজের কার্যকারীতা যথাযথভাবে প্রমাণ করেছেন তিনি। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম টি-টোয়েন্টিতে বল হাতে ৩ উইকেট আর ব্যাট হাতে ২৯ রান করে দলের জয়ে মুখ্য ভূমিকা রেখেছেন এই অলরাউন্ডার।
তিনি বলেন, (ফেরার পর) যে শুরুটা পেলাম, তাতে খুব ভালো লাগছে। সবসময়ই ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে খেলতে চাই আমি। যদিও লোকে মাঝেমধ্যে মনে করে, শুধু লিগগুলো ও এসব নিয়েই থাকতে চাই, তবে আমার ব্যাপারটি হলো, আমি চাই নিজের শরীরের দেখভাল ঠিকঠাক করতে এবং যখন ডাক আসে (জাতীয় দল থেকে), তখন যেন প্রস্তুত থাকি। এবার ডাক পাওয়া ঘিরে আমি খুবই রোমাঞ্চিত ছিলাম।
'স্যামি উল্লেখ করেছিলেন যে, সিপিএলে আমার যা করা দরকার তা করতে পারলে সে অবশ্যই দল নির্বাচনে আমার নাম তুলে আনবে। আমি অপেক্ষা করছিলাম আশা নিয়ে এরপর তো এই যে, এখন খেলছি এবং বুকে এই ক্রেস্ট (ওয়েস্ট ইন্ডিজের দলীয় প্রতীক) নিয়ে খেলতে পেরে আমি খুশি।'-আরো যোগ করেন তিনি।