এতে বলা হয়, সব ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে এক টাকা বা তার বেশি বকেয়া স্থিতিসম্পন্ন ঋণতথ্য পরবর্তী মাসের ১৫ তারিখের মধ্যে সিআইবি অনলাইন সিস্টেমে আপলোড করতে হবে। সিআইবি ডাটাবেইজে সংরক্ষিত ঋণতথ্যের মান অধিকতর নির্ভরযোগ্য করাসহ দ্রুতসময়ে গ্রাহকদের হালনাগাদ রিপোর্ট প্রাপ্তির লক্ষ্যে নতুন উন্নয়ন সিআইএস সফটওয়্যারে আপলোড দিতে হবে। আপলোডের সময়সীমা কোনক্রমেই ১৫ (পনের) তারিখ অতিক্রম করা যাবে না।
ঋণ নবায়ন, বর্ধিতকরণ, পুনর্গঠন, পুনঃতফসিল ও সমন্বয় কিংবা অন্য কোন কারণে কোন ঋণের শ্রেণিমানে কোনরূপ পরিবর্তন হলে যে তারিখে ঋণতথ্যের পরিবর্তন হয়েছে সেই তারিখ ভিত্তিক তথ্য তাৎক্ষনিকভাবে সফটওয়্যারে স্থাপন করতে হবে। নির্দেশনাটি অবিলম্বে কার্যকর হবে বলেও জানানো হয়েছে নির্দেশনায়।
এর আগে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে যারা অংশ নেবেন, তাদের খেলাপি ঋণের তথ্য রিটার্নিং কর্মকর্তাদের কাছে দেওয়ার জন্য ব্যাংকগুলোকে নির্দেশ দিয়েছিল অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ (এফআইডি)। এফআইডির থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপনে এ নির্দেশ দেওয়ার পর দেশের সব ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের (এমডি) কাছে এ নির্দেশনা পাঠিয়েছিল বাংলাদেশ ব্যাংক।
এতে বলা হয়, প্রার্থীদের ঋণখেলাপি সম্পর্কিত তথ্য নির্ভুলভাবে দেওয়ার দায়িত্ব ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের। ভুল তথ্য দিলে তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের সময় ব্যাংকের কর্মকর্তারা সেখানে উপস্থিত থেকে প্রার্থীদের খেলাপি ঋণের তথ্য মিলিয়ে দেখবেন এবং কোনো ঋণখেলাপি প্রার্থী হয়েছেন কি না। তবে যেসব প্রার্থী নিজস্ব নির্বাচনী এলাকার পরিবর্তে অন্যত্র ব্যাংক হিসাব বা ঋণ হিসাব পরিচালনা করে আসছেন, তাদের তালিকা রিটার্নিং কর্মকর্তাদের কাছ থেকে ব্যাংকের এমডিরা বিশেষ দূতের মাধ্যমে সংগ্রহ করেন এবং বিশেষ দূত বা ফ্যাক্স বা ই–মেইলের মাধ্যমে এ তথ্য নির্বাচন কমিশন, বাংলাদেশ ব্যাংক (সিআইবি) ও সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের শাখা ব্যবস্থাপকের কাছে পাঠান।
জাতীয় নির্বাচনে ঋণখেলাপিদের অংশগ্রহণ ঠেকাতে ১৯৯১ সালে প্রথম খেলাপিদের নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণা করা হয়।
অর্থসংবাদ/এমআই