হুথি-নিয়ন্ত্রিত ইয়েমেন থেকে জাহাজে হামলার কারণে শিপিং জায়ান্ট মারস্ক লোহিত সাগর এড়িয়ে চলবে। দুটি লাইবেরিয়ান-পতাকাবাহী জাহাজে হামলার পর এমন ঘোষণা এসেছে। গতকাল শুক্রবার (১৫ ডিসেম্বর) বাব আল-মান্দাব প্রণালীতে আক্রমণের শিকার হয় জাহাজ দুটি।
হামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে মার্কিন সামরিক বাহিনী বলেছে, ইরানের সমর্থনপুষ্ট গোষ্ঠীর কারণে বাণিজ্যিক জাহাজগুলো হুমকির মুখে পড়েছে।
ডেনিশ শিপিং কোম্পানি এপি মোলার মারস্ক বলেছে, পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত লোহিত সাগর হয়ে সমস্ত কনটেইনার চালান বন্ধ থাকবে। একই ধরনের পদক্ষেপের কথা বিবেচনা করছে জার্মান কনটেইনার লাইন হ্যাপাগ লয়েড।
মার্কিন সেন্ট্রাল কমান্ড জানায়, গতকাল ড্রোনের আঘাতে আল জাসরাহ জাহাজের কিছু অংশে আগুন ধরে যায়। পরে তা নিভিয়ে ফেলা হয়। অন্যদিকে এমএসসি প্যালেটিয়াম থ্রি জাহাজে দুটি ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হানে। এ সময় জাহাজে আগুন ধরে যায়।
এর আগে এমএসসি অ্যালানিয়া নামের জাহাজকে হুমকি দেয়া হয়। এটি দক্ষিণ লোহিত সাগরে উত্তরে যাচ্ছিল। হুথি বাহিনী তাদের দক্ষিণ দিকে মুখ ঘুরিয়ে নিতে বলে।
সেন্ট্রাল কমান্ড বলেছে, আক্রান্ত তিনটি জাহাজে আহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি। তবে সর্বশেষ হামলাটি আন্তর্জাতিক শিপিংয়ের জন্য বড় ঝুঁকির উদাহরণ।
হুথিদের পক্ষ থেকে দেয়া এক বিবৃতিতে বলা হয়, এমএসসি অ্যালানিয়া ও এমএসসি প্যালাটিয়াম থ্রি জাহাজে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হয়েছে। এতে আল জাসরাহর উল্লেখ নেই।
তবে এমএসসির একজন মুখপাত্র বলেছেন, অ্যালানিয়ার ওপর কোনো হামলা হয়নি। প্যালেটিয়াম থ্রি সম্পর্কিত প্রশ্নে মন্তব্য করেননি তিনি।
হুথিরা জানিয়েছে যে দুটি জাহাজই ইসরায়েলের দিকে যাচ্ছিল। এ গোষ্ঠীর দাবি, গাজায় ইসরায়েলি আক্রমণে ফিলিস্তিনিদের সমর্থন করে তারা। তবে মেরিন ট্রাফিকের তথ্য অনুসারে, অ্যালানিয়া ও প্যালেটিয়ামের গন্তব্য সৌদি আরবের জেদ্দা।
হুথি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, গাজা উপত্যকায় প্রয়োজনীয় খাদ্য ও ঔষধ সরবরাহ না হওয়া পর্যন্ত ইসরায়েলি বন্দরগামী সব জাহাজকে আটকানো হবে।
আল জাসরাহের মালিকানাধীন কোম্পানি হাপাগ-লয়েডের একজন মুখপাত্র বিস্তারিত বলতে অস্বীকৃতি জানিয়ে বলেন, তারা ক্রুদের নিরাপত্তার জন্য অতিরিক্ত ব্যবস্থা নেবে।
গতকাল মারস্ক জানায়, বাব আল-মান্দাব প্রণালীর দিকে যাওয়া সব জাহাজকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত যাত্রা বিরতি করতে বলা হয়েছে।