মস্কোয় অনুষ্ঠিত বার্ষিক সংবাদ সম্মেলনে পুতিন বলেন, ‘রাশিয়ার অর্থনীতি গত বছরের পতন থেকে ঘুরে দাঁড়িয়েছে এবং এগিয়ে চলছে।’
রুশ অর্থনীতির সামনে অনেক চ্যালেঞ্জ আছে জানিয়ে তিনি আরো বলেন, ‘বছরের শেষ নাগাদ দেশের মূল্যস্ফীতি ৮ শতাংশে উন্নীত হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ও আমাদের সরকার এটিকে লক্ষ্যে ফিরিয়ে আনতে সব ধরনের ব্যবস্থা নিয়েছে।’
দেশটিতে শিল্পোৎপাদনের প্রবৃদ্ধি ৩ দশমিক ৬ শতাংশ হয়েছে উল্লেখ করে ভ্লাদিমির পুতিন বলেন, ‘এটি বিশেষ আনন্দের খবর, আমাদের শিল্পোৎপাদন ক্রমবর্ধমান।’
ভ্লাদিমির পুতিনের মতে, রাশিয়ার বিদেশী ঋণ ৪ হাজার ৬০০ কোটি ডলার থেকে কমে ৩ হাজার ২০০ কোটি ডলার হয়েছে। এছাড়া বেসরকারি কোম্পানিগুলোও সময়মতো তাদের ঋণ পরিশোধ করছে।
তিনি বলেন, ‘রাশিয়ার বেকারত্ব ২ দশমিক ৯ শতাংশের ঐতিহাসিক নিম্ন পর্যায়ে নেমে এসেছে। দেশের ইতিহাসে এর আগে কখনো এমন ঘটেনি। অর্থনৈতিক অবস্থার জন্য এটি খুব ভালো একটি সূচক।’
পুতিনের দেয়া তথ্যানুসারে, রাশিয়ার প্রকৃত মজুরি ২০২৩ সালের শেষ পর্যন্ত বাড়তে থাকবে, যা প্রায় ৮ শতাংশ পর্যন্ত বাড়বে। চলতি বছরের শেষ নাগাদ জনসংখ্যার প্রকৃত আয়ের বৃদ্ধি প্রায় ৫ শতাংশ বাড়বে।
২০২৪ সালের শুরু থেকে ন্যূনতম মজুরি বৃদ্ধির কথাও উল্লেখ করেন রুশ প্রেসিডেন্ট। তিনি বলেন, ‘আমরা যখন প্রকৃত আয় বৃদ্ধির কথা বলছি, তখন এটি অবশ্যই উল্লেখ করতে হবে ১ জানুয়ারি থেকে আমাদের ন্যূনতম মজুরি ১৮ শতাংশ বাড়বে।’ যদিও এ ধরনের সূচক প্রায়ই যথাযথভাবে মেলানো যায় না।
প্রসঙ্গত, রাশিয়ান প্রেসিডেন্টের বার্ষিক সংবাদ সম্মেলন টেলিভিশনের মাধ্যমে লাইভ সম্প্রচার করা হয়। এতে অংশ নিয়ে সাংবাদিকদের পাশাপাশি সাধারণ জনগণও তাকে প্রশ্ন করতে পারেন। এটাকে বলা হয় ‘টু ইন ওয়ান’ ইভেন্ট।
অর্থসংবাদ/এমআই