বৈশ্বিক জলবায়ু বিশেষজ্ঞ ডেভিড ফিকলিং সম্প্রতি দাবি করেছেন, বিশ্বের উন্নত দেশগুলো নবায়নযোগ্য জ্বালানির প্রাথমিক লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করলেও পিছিয়ে উন্নয়নশীল দেশগুলো। সেক্ষেত্রে বড় জায়গা ধরে রেখেছে জীবাশ্ম জ্বালানি। বৈশ্বিক জ্বালানি তেল ও গ্যাস রফতানিকারক দেশগুলো নিজেদের মধ্যকার বাণিজ্য সম্পর্ক জোরদার রেখেছে। ফলে এশিয়া ও আফ্রিকার উদীয়মান অর্থনীতির দেশগুলোয় জ্বালানি নীতিমালা ঝুঁকির মুখে পড়েছে। অথচ বিশ্বের মোট জনসংখ্যার একটি বড় অংশের বসবাস এসব দেশে।
উন্নয়নশীল দেশগুলোর অর্থনীতি প্রধানত বৈদেশিক আয়ের ওপর নির্ভর করে। সেক্ষেত্রে তাদের জ্বালানি সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য উন্নত দেশগুলোর বিনিয়োগ দরকার। যদি উন্নত দেশগুলো এসব দেশের নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতে বিনিয়োগ না করে, বিকল্প হিসেবে তারা জীবাশ্ম জ্বালানির দিকেই ঝুঁকবে বলে মনে করছেন জলবায়ুসংশ্লিষ্টরা।
জ্বালানি তেল থেকে সবচেয়ে বেশি সুবিধা পাওয়া দেশ সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাত। উভয় দেশই নিজেদের মধ্যে শক্তিশালী বাণিজ্যিক সম্পর্ক তৈরি করেছে। পাকিস্তান ও মিসরের সঙ্গে সম্পর্ক দৃঢ় করেছে সৌদি আরব।
ফিলিপাইনের সঙ্গে তারা ৪৩০ কোটি ডলারের বাণিজ্য চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। ইন্দোনেশিয়াও নতুন রাজধানী নুসানতারার অবকাঠামোগত উন্নয়নে রিয়াদের দ্বারস্থ হয়েছে। অন্যদিকে চীনের পর আফ্রিকায় বিনিয়োগে এগিয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাত। ইথিওপিয়া, কেনিয়া, নাইজেরিয়া ও তানজানিয়ায় জোরালো প্রভাব রয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাতের। ভারতে জ্বালানি তেল পরিশোধনের একটি প্রকল্পে সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাত যথাক্রমে ১০ হাজার কোটি ও ৫ হাজার কোটি ডলার বিনিয়োগ করতে যাচ্ছে, যা হবে এ খাতে বিশ্বের বৃহৎ প্রকল্পগুলোর একটি।