ভিন্ন ফরম্যাটের এই সিরিজ শুরুর আগে আজ (মঙ্গলবার) ট্রফি উন্মোচন করেছেন দুই দলের অধিনায়ক। যেখানে বাংলাদেশ অধিনায়ক শান্ত শেষ ওয়ানডের আত্মবিশ্বাস নিয়ে কাল মাঠে নামার কথা বলেছেন, ‘সবাই এক সাথে দলগতভাবে খেলতে চাই, যেটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। অতিরিক্ত কোনো কিছু আশা করি না। আমরা যেমন, তেমনটাই করার চেষ্টা করব। আমার মনে হয় সবাই সেটাই করার জন্য প্রস্তুত।’
বাংলাদেশের জয়ের জন্য এই সিরিজকে ভালো সুযোগ বলছেন শান্ত, ‘আমার মনে হয় খুব ভালো একটা সুযোগ, সবাই অনেক রোমাঞ্চিত এই সিরিজটা খেলার জন্য। দল হিসেবে খুব ভালো প্রস্তুতি হয়েছে। টি-টোয়েন্টির কিছু খেলোয়াড় আগে এসেছে, এসে প্রস্তুতি নিয়েছে। আশা করছি যে সবাই কালকে একসঙ্গে হয়ে খুব ভালো একটা ম্যাচই খেলবে।’
অন্যদিকে, কিউই অধিনায়ক মিচেল স্যান্টনার বাংলাদেশের সঙ্গে ভালো লড়াইয়ের আভাস দিয়েছেন, ‘আমি সব সময় বাংলাদেশকে ভয় পেতাম। আমরা জানি তারা কতটা ভয়ঙ্কর। ওয়ানডে সিরিজটা ক্লোজ ছিল। তাদের পেসাররা অনেক দূর এগিয়েছে। অবশ্যই তাসকিন এখানে নেই, কিন্তু বাকি তিন-চার জন তাদের ক্লাস দেখিয়েছে। উইকেট যদি পেসবান্ধব হয় তাহলে তারা আমাদের জন্য কঠিন হবে। বাংলাদেশ তিনটি ম্যাচেই ভালো খেলেছে বলে আমি মনে করি। বিশেষ করে তৃতীয় ম্যাচে তারা দারুণ করেছে। পিচে কিছুটা সহায়তা ছিল হয়ত তবে তারা অনেক ভালো জায়গায় বোলিং করেছে। জয়টাও তাদের প্রাপ্য ছিল। আশা করছি এই সিরিজেও বেশ ভালো রকমের লড়াই হবে।’
আগামী বছরের জুনে যুক্তরাষ্ট্র ও ওয়েস্ট ইন্ডিজে বসবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আসর। তার আগে ঘরে-বাইরে মিলিয়ে ১১টি ম্যাচ খেলার সুযোগ পাচ্ছে বাংলাদেশ। টাইগাদের প্রধান কোচ চণ্ডিকা হাথুরুসিংহে এই ম্যাচগুলো থেকেই নিজেদের সেরা অবস্থায় নিয়ে যেতে চান। বিশ্বকাপের আগে নিউজিল্যান্ডের মাঠে তিনটি টি-টোয়েন্টির পর ঘরের মাঠে শ্রীলঙ্কা ও জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে একই ফরম্যাটে যথাক্রমে ৩ ও ৫টি ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ।
অর্থসংবাদ/এমআই