মঙ্গলবার থেকে প্রথম ধাপের এ সামরিক নৌমহড়াটি ভারতীয় উপকূল আরব সাগর ও বঙ্গপোসাগর উপকূলে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। খবর আনন্দবাজার পত্রিকার।
দুই ধাপে অনুষ্ঠিতব্য মালাবার নৌমহড়ার প্রথম ধাপ বিশাখাপত্তম উপকূলে ৩ নভেম্বর থেকে ৬ নভেম্বর পর্যন্ত চলবে।
এ মহড়ায় যোগ দেবে মার্কিন নৌবাহিনীর ক্ষেপণাস্ত্র বিধ্বংসী যুদ্ধ জাহাজ ইউএসএস জন এস ম্যাককেইন, অস্ট্রেলিয়ার এইচএমএএস বালারাতসহ এমএইচ-৬০ হেলিকপ্টার এবং জাপানের জেএমএসডিএফ’র ওনামি (ডেস্ট্রয়ার)।
ভারত ও প্রশান্ত মহাসাগরে নৌ চলাচল ‘অবাধ ও স্বাধীন’ রাখার উপায় খোঁজার যুক্তি দেখিয়ে ২০০৭ সালে যুক্তরাষ্ট্র, জাপান, অস্ট্রেলিয়া ও ভারতের মধ্যে ‘কোয়াড’ নামে সংলাপের সূচনা হয়েছিল। দশ বছর পর ‘কোয়াড সংলাপ’ ২০১৭ সাল থেকে নতুন করে জীবন ফিরে পায়।
অক্টোবরের শুরুতে টোকিওতে চার দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বিশেষ আলোচনাসভায় যোগ দেন। সেখানেই অস্ট্রেলিয়াকে মালাবার নৌ মহড়ার অন্তর্ভুক্ত করার প্রসঙ্গ ওঠে। ভারতসহ বাকি দেশগুলো এতে সম্মতি দেয়। এরপর করোনা পরিস্থিতিতে ভার্চুয়াল মাধ্যমেই সে সব নিয়ে আলোচনা চলছিল। অস্ট্রেলিয়ার অন্তর্ভুক্তির পর অক্টোবরের শেষ দিকে নয়াদিল্লির আলোচনাসভায় বিষয়টি চূড়ান্ত হয়।
এই মহড়াটি এমন সময় অনুষ্ঠিত হচ্ছে যখন চীন ও অস্ট্রেলিয়া কূটনৈতিক বিরোধ চলছে। এছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য নিয়ে বিরোধ রয়েছে চীনের। সেই সঙ্গে ভারতের সঙ্গে সীমান্ত নিয়েও চীনের দ্বন্দ্ব চলছে।