ভেনিজুয়েলার জ্বালানি তেলনির্ভর অর্থনীতির বেহাল দশা

ভেনিজুয়েলার জ্বালানি তেলনির্ভর অর্থনীতির বেহাল দশা
ভেনিজুয়েলা জ্বালানি তেলের বাজারে ছিল এক অপ্রতিরোধ্য নাম। ১০০ বছরের মতো বৈশ্বিক জ্বালানি তেলের বাজারে যার আধিপত্য ছিল। বিশের দশকে জ্বালানি তেলের ওপর নির্ভর করে যার অর্থনীতি এগিয়ে যায় সীমাহীনভাবে। দেশটি জ্বালানি তেল রফতানিকারক দেশগুলোর সংগঠন ওপেকের প্রতিষ্ঠাতা সদস্যও। কিন্তু স্বজননীতি, অব্যবস্থাপনা, দুর্নীতি ও নিষেধাজ্ঞার কবলে পড়ে দেশটির অর্থনীতি এখন ভঙ্গুর দশায়। জ্বালানি তেল অনুসন্ধান, উত্তোলন, কূপ খননসহ এ খাতে নেই কোনো বিনিয়োগ, যা কার্যত অদূরভবিষ্যতে দেশটির উত্তোলন শূন্যে নামিয়ে আনতে পারে। অন্যদিকে কয়েক বছর ধরে জ্বালানি তেল থেকে দেশটির রফতানি আয় অকল্পনীয়ভাবে কমে আসতে শুরু করেছে। সব মিলিয়ে একসময়কার অন্যতম শীর্ষ জ্বালানি তেল উত্তোলন ও সরবরাহকারী দেশের জ্বালানিনির্ভর অর্থনীতির দিন শেষ হয়ে আসছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

মার্কিন নিষেধাজ্ঞার কবলে পড়ে জ্বালানি তেলের উত্তোলন কমিয়ে দিতে বাধ্য হচ্ছে দেশটি। ফলে একসময় যেসব বৃহদায়কার কূপে অপরিমেয় অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের মজুদ ছিল, সেগুলো এখন কেবলই পরিত্যক্ত। রফতানির জন্য তৈরি পরিশোধন কেন্দ্রগুলোর অবকাঠামো মরীচিকা ধরে ধ্বংস্তূপে রূপ নিয়েছে। পাইপলাইন ছিদ্র হয়ে জ্বালানি তেল এখন দেশটির রাস্তায় ভেসে যাচ্ছে। পানির ওপর আস্তরণ পড়েছে জ্বালানি তেলের। অন্যদিকে তীব্র জ্বালানি সংকটে দেশটির গ্যাস স্টেশনগুলোতে অপেক্ষা মাইলের পর মাইল দীর্ঘ হচ্ছে। সড়ক বাতি হিসেবে ব্যবহার হচ্ছে পরিত্যক্ত গ্যাসের অগ্নিশিখা। সব মিলিয়ে ১০০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বেশি মানবিক সংকটের মধ্যে দিয়ে কাটাতে হচ্ছে ভেনিজুয়েলার নাগরিকদের, জ্বালানি তেলের ওপর নির্ভর করে একসময় যাদের ঐশ্বর্যের অভাব ছিল না।

ভেনিজুয়েলার জ্বালানিনির্ভর অর্থনীতি বুঝতে হলে গত শতকের শুরুর দিকে নজর দিতে হবে, যখন দেশটি কেবল কৃষিনির্ভর একটি গরিব দেশ ছিল। ১৯২০ সালের আগ পর্যন্ত দেশটিকে কেবল কৃষির ওপরই নির্ভর করতে হতো। কিন্তু ১৯১৪ সালে ভেনিজুয়েলার মেনি গ্রান্ড ফিল্ডে প্রথমবারের মতো জ্বালানি তেলের খোঁজে খনন শুরু হয়। সেই থেকে দেশটির ভাগ্য বদলাতে থাকে। মারাকাইবো লেকের উপকূলের এ ফিল্ডের জুমাকিউ কূপে বিপুল পরিমাণ অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের মজুদ পায় তারা, যা দেশটির প্রথম বাণিজ্যিক কূপ। এর পর থেকে অর্থনৈতিকভাবে দেশটিকে আর পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি। ১৯৫০ সালের মধ্যে ভেনিজুয়েলা জিডিপির হিসাবে বিশ্বের চতুর্থ অর্থনীতির দেশ হিসেবে আবির্ভূত হয়। অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের মজুদ ও উত্তোলনে দেশটির আধিপত্যের ফলে ওপেক গঠনের সদস্য দেশ হিসেবে জায়গা করে নেয়।

আর জ্বালানি তেলনির্ভর বৃহৎ অর্থনীতির এ রূপান্তরের পেছনে সত্তরের দশকের আগ পর্যন্ত যেটি হাতিয়ার হিসেবে কাজ করেছিল সেটি হলো গণতন্ত্র। আজকের সমাজতান্ত্রিক দেশটি এ সময়ের আগ পর্যন্ত লাতিন আমেরিকার মধ্যে কেবল সবেচেয়ে ধনী দেশই ছিল না। বরং দেশটি ছিল স্থায়ী গণতান্ত্রিক ভিত্তির ওপর প্রতিষ্ঠিত, যখন কিনা এ অঞ্চলের অধিকাংশ দেশেই চলছে সামরিক একনায়কতন্ত্র। দেশটির গণতন্ত্র ও অর্থনীতি দুটোই তখন বহির্বিশ্বের কাছে প্রশংসা ও অনুকরণীয় হিসেবে ছিল।

কিন্তু আশির দশক থেকে ভেনিজুয়েলার অর্থনীতিতে চাপ বাড়তে থাকে। দেশটির গণতন্ত্র তখন বেশ ঝাঁকুনির মধ্যে পড়ে যায়। এ সময় সৃষ্ট বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দায় জ্বালানি তেলের দাম কমতে শুরু করে দ্রুত, যা দেশটির অর্থনীতির ভিত নড়িয়ে দেয়। সরকারি খরচ মেটাতে ঋণের জালে আটকে পড়ে দেশটি। ফলে বাধ্য হয়ে আশির দশকের পর কারাকাসকে ঋণের জন্য ধরনা দিতে হয় আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) কাছে। এ সময় আইএমএফ থেকে বাজারমুখী নব্য উদার নীতি, বাজেট কমিয়ে আনার মতো বিষয়গুলোতে সংস্কার আনার পরামর্শ দেয়া হয়, যা দেশটির জনস্বাস্থ্য ও শিক্ষা ব্যবস্থার মতো সামাজিক কর্মসূচির ওপর প্রভাব ফেলে। আর আইএমএফের পরামর্শ মেনে এসব সংস্থা করার পর থেকেই দেশটিতে জনরোষ বাড়তে শুরু করে। বাড়তে থাকে মূল্যস্ফিতি।

এর সবকিছুর জন্য দায়ী ছিল জ্বালানি তেল অর্থনীতির ওপর ভেনিজুয়েলার অত্যধিক নির্ভরশীলতা। অর্থনীতিকে বহুমুখীকরণ না করে দেশটি কেবল জ্বালানি তেলের ওপর ভর করে দেশ পরিচালনা করে আসছিল। এ সময় পর্যন্ত দেশটির রফতানি আয়ের ৮০ শতাংশই ছিল জ্বালানি তেলনির্ভর, যা জিডিপির এক-তৃতীয়াংশ এবং সরকারের আয়ের অর্ধেকই আসত জ্বালানি তেল থেকে।

ফলে অর্থনৈতিক সংকটে ভেনিজুয়েলায় দ্রুতই জন-অসন্তোষ দানা বাঁধতে শুরু করে। ১৯৮৯ সালের ফেব্রুয়ারিতেই মূল্যস্ফীতি, বৈষ্যম্য, দারিদ্র্য বৃদ্ধির মতো বিষয়গুলো নিয়ে কারাকাসের রাস্তায় নেমে আসে দেশটির নাগরিকরা। সামাজিক ও অর্থনৈতিক সংস্কারের দাবিতে গড়ে ওঠা এ আন্দোলনে ক্যারিশম্যাটিক গুণাবলি দিয়ে আন্দোলনকারীদের কাছে জনপ্রিয় হয়ে ওঠে সমাজতান্ত্রিক মতাদর্শে বিশ্বাসী সেনাবাহিনীর জুনিয়র অফিসার হুগো শাভেজ। পরে ১৯৯৮ সালে দেশটির প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়ী হন শাভেজ। দায়িত্ব নিয়েই তিনি সংবিধান পরিবর্তন, সামাজিক কর্মসূচি সংস্কার এবং জমি পুনর্বণ্টনের মতো কর্মসূচি গ্রহণ করেন, যা বলিভিয়া বিপ্লব নামে পরিচিত।

তবে পূর্বসূরি সরকারের মতো জ্বালানি তেলনির্ভর অর্থনীতি থেকে বের হতে পারেননি শাভেজ। এর আরেকটি কারণ হলো তিনি ক্ষমতায় আসার পরই জ্বালানি তেলের বাজার আবার চাঙ্গা হতে শুরু করে। ফলে অর্থনৈতিক সংস্কারে নজর না দিয়ে পুরোপুরি জ্বালানি তেলনির্ভর অর্থনীতি পরিচালনা করতে শুরু করেন শাভেজও। এরই মধ্যে ২০১৩ সালে শাভেজের মৃত্যুর পর উত্তরসূরি হিসেবে দেশ পরিচালনা দায়িত্ব পান নিকোলাস মাদুরো। কিন্তু নিকোলাস সরকারের জন্য ভাগ্য আর সুপ্রসন্ন হয়নি। তিনি দায়িত্ব নেয়ার পর পরই ২০১৪ সালের শেষের দিকে সৌদি আরব জ্বালানি তেলের বাজারে নিজেদের হিস্যা বাড়াতে ব্যাপক উত্তোলন শুরু করে। ফলে জ্বালানি তেলের বাজার আবার নিম্নমুখী হওয়া শুরু করে। আর সংকটের জালে ঘূর্ণিত হতে থাকে ভেনিজুয়েলার অর্থনীতি। অর্থনৈতিক ধসে জীবনযাত্রা পরিচালনা করতে না পেরে লাখ লাখ মানুষ দেশ ত্যাগ শুরু করে।

আর চলতি বছরের জুলাই পর্যন্ত ভেনিজুয়েলায় দৈনিক অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের গড় উত্তোলন ছিল ৩ লাখ ৪৫ হাজার ব্যারেল, যা এক শতাব্দীর মধ্যে সবচেয়ে কম। আর সেপ্টেম্বরের মধ্যে উত্তোলন কিছুটা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩ লাখ ৮৩ হাজার ব্যারেলে। যদিও মাদুরো সরকার দাবি করছে, তারা দ্রুত জ্বালানি তেল উত্তোলন বাড়াতে শুরু করেছেন। তবে সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, মার্কিন নিষেধাজ্ঞা, দেশে রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার মধ্যে দেশটির জ্বালানিনির্ভর অর্থনীতির ভবিষ্যৎ থমকে যেতে শুরু করেছে।

লাতিন আমেরিকার জ্বালানি তেলবিষয়ক পরামর্শক প্রতিষ্ঠান আইপিডির প্রধান ডেভিড ভোগট মনে করেন, নতুন করে কূপ খনন, সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান নিয়োগ ব্যতীত বর্তমান উত্তোলনের ধারাও ধরে রাখা যাবে না। তার মতে, দেশটির রাজনৈতিক অবস্থা যদি কখনো পরিবর্তন না হয়, তাহলে জ্বালানি তেলের উত্তোলন একেবারে শূন্যে নেমে আসতে পারে।

বিশ্বের বৃহত্তর অয়েল ফিল্ড সার্ভিস কোম্পানি বেকার হিউজেসের তথ্য বলছে, এক দশক আগেও ভেনিজুয়েলা বছরে ৯ হাজার কোটি ডলারের সমান জ্বালানি তেল রফতানি করার রেকর্ড গড়েছে। অথচ ২০১৯ সালে দেশটির এ খাত থেকে আয় এসেছে মাত্র ২ হাজার ২৫০ কোটি ডলারের মতো। আর চলতি বছর এ আয় আরো বহু কমে আসতে পারে, যা কার্যত দেশটির অর্থনৈতিক ভঙ্গুরতাকে বাড়িয়ে তুলবে।

ইউরোশিয়া গ্রুপের বিশ্লেষক রিসা গ্রেইস টাগ্রো মনে করেন, জ্বালানিখ্যাত দেশ হিসেবে ভেনিজুয়েলার দিন শেষ গেছে।

পাঁচ বছর ধরে ভেনিজুয়েলার অপরিশোধিত জ্বালানি খাত অপরিসীম অব্যবস্থাপনার মধ্য দিয়ে গেছে। এর সঙ্গে রয়েছে পুঁজি ও অভিজ্ঞ শ্রমিকের বড় সংকট। ফলে দেশটির জ্বালানি খাতের অবকাঠামোগত দিকগুলোর তেমন কোনো দীর্ঘস্থায়ী ব্যবস্থাপনা করতে পারেনি দেশটি।

অন্যদিকে ভেনিজুয়েলার রাষ্ট্রীয় জ্বালানি তেল কোম্পানি পিডিভিএসএর উত্তোলন ও অবকাঠামো নিয়ন্ত্রণের সক্ষমতা ক্রমান্বয়ে কমে আসছে। ফলে ক্যারিবিয়ান সাগরে বিরাট পরিবেশগত বিপর্যয়ের মুখোমুখি পড়তে যাচ্ছে। বিশেষ করে পারিয়া গালফ অব পারিয়ায় পিডিভিএসএ এবং ইতালীয় কোম্পানি এনি পরিচালিত জ্বালানি তেলের মজুদ ও অফলোডিং ফ্যাসিলিটি থেকে অপরিশোধিত জ্বালানি তেল ক্যারিবিয়ান সাগরে মিশে বড় পরিবেশগত বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে, যা ১৯৮৯ সালে আলাস্কায় সংঘটিত এক্সন ভালদেজ জ্বালানি তেল বিপর্যয়ের চেয়ে আট গুণ বেশি।

সব মিলিয়ে ভেনিজুয়েলার জ্বালানিনির্ভর অর্থনীতি ও জ্বালানি খাত এতটাই খাদের কিনারে দাঁড়িয়ে যে সেটি আর টেনে পুনরায় উজ্জীবত করা প্রায় অসম্ভব বলে মনে করা হচ্ছে। অর্থনৈতিক বিপর্যয় দেশটিকে এতটাই আঁকড়ে ধরেছে যে তারা এখন দীর্ঘদিনের মিত্র রাশিয়ার সাহায্য চাইছে। যদিও কারাকাসকে সাহায্যের বিনিময়ে এরই মধ্যে দেশটির মূল্যবান কয়েকটি জ্বালানি খাতের সম্পদ নিজেদের মালিকানায় নিয়েছে মস্কো। এখন কেবল জ্বালানি দিয়েই নয়, বরং মার্কিন নিষেধাজ্ঞায় আষ্টেপৃষ্ঠে থাকা ভেনিজুয়েলা ইরানের কাছ থেকে মজুদ স্বর্ণের বিনিময়ে গ্যাসোলিন নিচ্ছে। তবে দেশটির রাষ্ট্রীয় সম্পদ মূলত ২০১৪ সালের পর থেকেই উল্লেখযোগ্য পরিমাণে কমতে থাকে। এ সময় রাষ্ট্রীয় ব্যয় মেটাতে বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার মুদ্রা ও মজুদ স্বর্ণ বিক্রি করে দেয় মাদুরো সরকার। ফলে এখন এ সম্পদের পরিমাণ আর আগের মতো বিক্রি করে দেশ পরিচালনার পর্যায়ে নেই।

অন্যদিকে প্রতিবেশী গায়ানা ও সুরিয়ানামের মতো দেশগুলোর ভূরাজনৈতিক প্রেক্ষাপট বিবেচনায় এখন ভেনিজুয়েলায় বিনিয়োগ কমিয়ে আনছে। এছাড়া ভেনিজুয়েলার যে অপরিশোধিত জ্বালানি তেল মজুদ রয়েছে সেটিতে অধিক মাত্রায় সালফারের উপস্থিতি পাওয়া যাচ্ছে, যেখানে বিশ্ব এখন কম সালফারযুক্ত জ্বালানি ব্যবহারের দিকে ঝুঁকছে। এতে ভেনিজুয়েলার অপরিশোধিত জ্বালানি তেল পরিশোধনেও ব্যয় বাড়বে। ফলে একসময় জ্বালানি তেলের বাজারে আধিপত্য বিস্তারকারী, লাতিন আমেরিকার ভাগ্য নির্ধারণকারী ভেনিজুয়েলায় বলিভিয়া বিপ্লব যুগের অবসান ঘটতে যাচ্ছে।

বর্তমান এ পরিস্থিতি আরো খারাপের দিকে যাবে। কারণ দেশ পরিচালনায় অর্থ সংকট তীব্র হওয়ার পেছনে দুর্নীতিকে অন্যতম কারণ হিসেবে দেখা হয়। ধারণা করা হয়, মাদুরো ও তার অনুসারীরা ব্যক্তি স্বার্থের জন্য বিলিয়ন বিলয়ন ডলারের রাষ্ট্রীয় সম্পদ লুট করেছেন। ফলে মাদুরোকে উত্খাত করতে নিজ দেশেই যেমন দীর্ঘদিনের প্রচেষ্টা চলছে, তেমনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রও দেশটিকে নিষেধাজ্ঞার আওতায় নিয়ে এসে অর্থনৈতিক দুর্দশাকে বাড়িয়ে তুলেছে। ফলে ভেনিজুয়েলা এখন বৈশ্বিক অর্থনৈতিক সংস্থা ও জ্বালানি তেলের বাজার থেকে এক রকম বিচ্ছিন্ন। ফলে একসময়ের জ্বালানি তেলনির্ভর অর্থনীতির দেশটি এখন প্রায় অন্তঃসারশূন্যতার পথে। একসময়কার লাতিন আমেরিকার ধনী দেশটিকে আবার টেনে তুলতে প্রচুর অর্থের প্রয়োজন হবে। আর জ্বালানি খাতের সুদিন ফেরাতে দরকার হবে আধুনিক প্রযুক্তি ও দক্ষ শ্রমিক, যার কোনোটাই নিকোলাস মাদুরো সরকারের ক্ষমতায় থাকতে সম্ভব হবে না বলে মনে করা হয়। কারণ মাদুরো যুগের অবসান ঘটাতেই তো যুক্তরাষ্ট্রের এত আয়োজন।

সূত্র অয়েলপ্রাইসডটকম ও নিউইয়র্ক টাইমস

আর্কাইভ থেকে

আরও পড়ুন

পেট্রোল-ডিজেলের নতুন দাম ঘোষণা
ভিসা ছাড়াই যুক্তরাজ্যে যেতে পারবে মুসলিম ৬ দেশ
মারা গেছেন পণ্ডিত ভবানী শঙ্কর
২০২৩ এ আলোচিত বিশ্বের সেরা ১০ ঘটনা
ব্রিকসে যোগ দেবে না আর্জেন্টিনা
নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে প্রস্তুত বিশ্ববাসী
১০ টাকাতেই মিলবে বই
বিশ্বের সবচেয়ে ধনী নারী ফ্রাঁসোয়া বেটেনকোর্ট
সৌদি আরবে আরো একটি স্বর্ণের খনির সন্ধান
শক্তিশালী ভূমিকম্পে কাঁপলো ইন্দোনেশিয়া