দিলকুশাস্থ ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের বোর্ড রুমে ট্রেজারি কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও মো. ওবায়েদ উল্লাহ আল মাসুদ, অর্থ মন্ত্রণালয়ের উপসচিব আবুল বাশার মো. আমির উদ্দিন এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের যুগ্ম পরিচালক এ.কে.এম মুখলেছুর রহমান। এ সময় রূপালী ব্যাংকের ডিএমডি মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম, খন্দকার আতাউর রহমান ও মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর, জিএম অশোক কুমার সিংহ রায়, মো. শফিকুল ইসলাম, খান ইকবাল হোসেন, গোলাম মতূর্জাসহ সকল জিএম, ব্যাংকের সিএফও মো. শওকত জাহান খান,এফসিএমএ সহ ব্যাংকের উর্ধতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে অর্থ মন্ত্রণালয়ের উপসচিব আবুল বাশার মো. আমির উদ্দিন বলেন, আজ সরকারের রাজস্ব ব্যবস্থাপনায় এক যুগোপযোগী দিন। সরকারের দীর্ঘদিনের প্রত্যাশা ও প্রচেষ্টা ছিল কিভাবে রাজস্ব ব্যবস্থাপনাকে আরও উন্নত করা যায়। ব্যাংক কোম্পানি আইন-১৯৭২ অনুযায়ী দেশের একমাত্র ট্রেজারি ব্যাংক ছিল সোনালী। সরকারের প্রত্যাশা অনুযায়ী আইনে কিছুটা পরিবর্তন এনে অন্য ব্যাংকগুলোকেও ট্রেজারি ব্যাংক হিসেবে অন্তর্ভূক্ত করার সুযোগ সৃষ্টি করা হয়। এই কার্যক্রমের অংশ হিসেবে রূপালী ব্যাংক লিমিটেড সরকারের ট্রেজারি ব্যাংকের দায়িত্ব পেল। এর মাধ্যমে সরকারের রাজস্ব ব্যবস্থাপনায় অনেক গতি আসবে। আগে ট্রেজারি চালান যখন ম্যানুয়ালি ছিল তখন বিভিন্ন ধরনের অসুবিধা ছিল। ট্রেজারি চালানে অনেক জালিয়াতির ঘটনা ঘটতো। এই সমস্যা থেকে উত্তরণে অটোমেটেড চালান সিস্টেম চালু হয়েছে।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ব্যাংকের যুগ্ম পরিচালক এ. কে. এম. মুখলেছুর রহমান বলেন, রূপালী ব্যাংকের ট্রেজারি কার্যক্রম চালু হওয়ার মাধ্যমে সরকার ও জনগণ উভয়েই লাভবান হবে।
রূপালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও মো. ওবায়েদ উল্লাহ আল মাসুদ বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যখন ডিজিটাল বাংলাদেশের কথা বলেছিলেন তখন আমাদের কাছে স্বপ্ন মনে হয়েছিল। কিন্তু ডিজিটাল বাংলাদেশ আজ বাস্তব। পুরো ব্যাংক খাত আজ ডিজিটালাইজড। তিনি বলেন, ট্রেজারি ব্যবস্থাপনায় যুক্ত হয়ে রূপালী ব্যাংক আজ নতুন যুগে প্রবেশ করলো। আমরা সোনালী ও অগ্রণী ব্যাংকের পরে কার্যক্রম শুরু করলেও রূপালী ব্যাংক শীর্ষে যাবে।
অর্থসংবাদ/এ এইচ আর