চলতি বছরের শুরুতে চীনের সঙ্গে ফেজ-ওয়ান বাণিজ্য চুক্তি স্বাক্ষর করে যুক্তরাষ্ট্র। নিউইয়র্ক টাইমসের কলামিস্ট থমাস ফ্রায়েডম্যানের সঙ্গে আলাপচারিতায় বাইডেন জানিয়েছেন, বিদায়ী মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আমলে এ চুক্তি হলেও তিনি তাত্ক্ষণিকভাবে এটি বাতিলের পরিকল্পনা করছেন না।
তিনি বলেন, ‘আমি তাত্ক্ষণিক কোনো পদক্ষেপ নেব না। যে শুল্ক চালু রয়েছে, তা থেকে যাবে। বিদ্বেষমূলক মনোভাব থেকে আমি কোনো সিদ্ধান্ত নেব না।’ বাইডেন জানান, হোয়াইট হাউজে যাওয়ার পর তিনি প্রথমে যা করবেন তা হলো, এই বাণিজ্য চুক্তির চুলচেরা বিশ্লেষণ। এছাড়া বিষয়টি নিয়ে এশিয়া ও ইউরোপে যুক্তরাষ্ট্রের বন্ধুপ্রতিম দেশগুলোর সঙ্গেও আলোচনা করবেন তিনি, যেন তাদের মধ্যকার মৈত্রী আরো সুসংহত হয় এবং সব দেশ মিলে অভিন্ন কৌশলগত সিদ্ধান্ত নেয়া যায়। তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি, চীনসংক্রান্ত কৌশলের বিষয়টি নিয়ে আমাদের মিত্র দেশগুলোর সবারই চিন্তাভাবনা একই। প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর আমার প্রধান অগ্রাধিকারমূলক বিষয় হবে এসব দেশকে আবার এক করা।’
গত জানুয়ারিতে স্বাক্ষর হওয়া চুক্তি অনুযায়ী, ২০২১ সালের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র থেকে পণ্য আমদানি ২০ হাজার কোটি ডলার বাড়ানোর বিষয়ে সম্মত হয় চীন। তবে এ লক্ষ্যমাত্রা পূরণ খুব একটা সহজ হবে না দেশটির জন্য। কারণ অক্টোবর শেষের উপাত্তে দেখা গেছে, চলতি বছর যে পরিমাণ পণ্য আমদানির প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, তার মাত্র ৪৪ শতাংশই সম্পন্ন করতে পেরেছে তারা। এই ফেজ-ওয়ান বাণিজ্য চুক্তির অধীনে যুক্তরাষ্ট্র ও চীন শত শত কোটি ডলারের পণ্যের ওপর থেকে শুল্ক প্রত্যাহার করেছে।