তৃতীয় প্রান্তিকে দেশটির জিডিপি বেড়েছে ৭ দশমিক ২ শতাংশ, যা অন্তত ১৯৮০ সালের পর সর্বোচ্চ। মূলত ভোক্তাব্যয় বেড়ে যাওয়া এবং যন্ত্রপাতি ও নির্মাণ খাতের বিনিয়োগ গতিশীল হতে শুরু করায় এ প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে সুইজারল্যান্ড।
কেবল চার দশকের রেকর্ড প্রবৃদ্ধিই নয়, বরং দেশটির জিডিপি বেড়েছে প্রত্যাশাতীত হারেও। তৃতীয় প্রান্তিকে সুইস অর্থনীতিতে ৬ শতাংশ প্রবৃদ্ধি দেখার পূর্বাভাস দিয়েছিলেন বিশ্লেষকরা।
আরেকটি বিষয় উল্লেখ করলে এই প্রবৃদ্ধির মাহাত্ম্য ভালোভাবে প্রতীয়মান হবে। তৃতীয় প্রান্তিকে সুইজারল্যান্ডের জিডিপি বেড়েছে ৭ শতাংশের বেশি। অথচ আগের প্রান্তিকেই তা সংকুচিত হয়েছিল ৭ শতাংশ। তৃতীয় প্রান্তিকে অর্থনীতির এই শক্তিশালী পুনরুদ্ধারের ফলে দেশটির জিডিপির আকার মহামারী-পূর্ব সময়ের চেয়ে ২ শতাংশ কমে অবস্থান করছে। ইউরো অঞ্চলের অনেক শীর্ষ অর্থনীতির চেয়ে এ হার কম।
সুইজারল্যান্ডের স্টেট সেক্রেটারিয়েট ফর ইকোনমিক অ্যাফেয়ার্স গতকাল এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ‘প্রতিবেশী দেশগুলোর তুলনায় সুইস অর্থনীতি কভিড-১৯ মহামারীর অভিঘাত কিছুটা দ্রুত সামলে নিতে পেরেছে।’
প্রথম দফার লকডাউনের বিধিনিষেধ প্রত্যাহারের পর ইউরোপের অনেক দেশেই তৃতীয় প্রান্তিকে অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের গতি জোরালো ছিল। কিন্তু নতুন করে সংক্রমণ বাড়তে থাকায় এবং তা প্রতিরোধে দ্বিতীয় দফায় বিধিনিষেধ আরোপ করায় এসব অর্থনীতির দীর্ঘমেয়াদি পুনরুদ্ধার ফের অনিশ্চয়তায় পড়ে গেছে।