২৪ জন অর্থনীতিবিদ নিয়ে গড়া রয়টার্সের সেই সমীক্ষায় দেখা গেছে, রফতানি এক বছর আগের তুলনায় ১২ শতাংশ বেড়েছে, যা অক্টোবরের ১১ দশমিক ৪ শতাংশ লাভ দ্বারা আরো বেশি ত্বরান্বিত হয়েছে।
ফ্রিজ, টোস্টার ও মাইক্রোওয়েভের মতো গৃহসামগ্রীগুলো বিক্রি লকডাউনজুড়ে বিশ্বব্যাপী ব্যাপকভাবে বেড়ে গিয়েছিল। বিক্রি বাড়ার এই গতি চীনের বিশাল উৎপাদন কাঠামোকে প্রাণবন্ত থাকতে সাহায্য করেছে। পাশাপাশি বছরের শুরুতে তীব্র মন্দার পর গুরুত্বপূর্ণ ধাতব পণ্য ইস্পাত, তামা ও অ্যালুমিনিয়ামের চাহিদাও বেশ বৃদ্ধি পায়, সেটিও চীনের এই অগ্রগতিতে ভূমিকা রেখেছে।
অভ্যন্তরীণ চাহিদা এবং পণ্যের উচ্চদামের কারণে এ বছর আমদানি সম্ভবত ৬ দশমিক ১ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে, যা গত মাসের ৪ দশমিক ৭ শতাংশ থেকেও বাড়তি গতি লাভ করেছে।
জরিপ মতে, ধারণা করা হচ্ছে চীনের বাণিজ্য উদ্বৃত্ত অক্টোবরের ৫৮ দশমিক ৪৪ বিলিয়ন ডলার থেকে নভেম্বরে ৫৩ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলারে কিছুটা সংকুচিত হয়েছে। এ পরিসংখ্যান আগামী সোমবার প্রকাশ করা হবে।
চীনের মিনশেং ব্যাংকের বিশ্লেষকরা বলেছেন, নভেম্বরে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় কারখানাগুলোয় বাড়তি চাহিদা দেখা গেছে। পাশাপাশি ফেস মাস্কসহ অন্যান্য মেডিকেল সরঞ্জামের শক্তিশালী চালানও গত মাসের রফতানির আওতায় পড়েছে। এসবও চীনের রফতানি বাড়ার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।
তারা আরো জানিয়েছে, চীনের রফতানি প্রতিস্থাপনের প্রভাব ক্রমে বাড়তে থাকবে। কারণ উদীয়মান অর্থনীতিগুলো এখনো নিজেদের পুনরুদ্ধার করতে পারেনি।
চীনের সরকারি ও বেসরকারি উৎপাদন জরিপেও দেখা গেছে, নতুন রফতানির অর্ডারগুলোও দ্রুতগতিতে প্রসারিত হচ্ছে।
কিন্তু কিছু বিশ্লেষক সতর্ক করে বলেছেন, গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্য সহযোগীদের মাঝে সংক্রমণ বাড়া এবং নতুন লকডাউন চীনা পণ্যের চাহিদা ব্যাহত করতে পারে। পাশাপাশি সাম্প্রতিক সময়ে ইউয়ান মুদ্রার ভালো অবস্থান রফতানিকারকদের কিছুটা নিরাশ করতে পারে। পরিসংখ্যান ব্যুরো বলছে, কিছু ফার্ম জানিয়েছে শক্তিশালী ইউয়ান লাভকে সংকুচিত করেছে এবং নভেম্বরের রফতানি আদেশও কমিয়ে দিয়েছে। সূত্র রয়টার্স।