গত শনিবার ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন ও ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডার লিয়েন টেলিফোনে কথা বলার পর পুনরায় আলোচনা শুরুর সিদ্ধান্ত হয়।
যৌথ বিবৃতিতে এ দুই নেতা জানিয়েছেন, আজ সোমবার সন্ধ্যায় তারা আবারো কথা বলবেন এবং যুক্তরাজ্য ইইউ থেকে বেরিয়ে যাওয়ার আগে মাত্র তিন সপ্তাহের মধ্যে দুই পক্ষ একটি বড় আকারের সমাধান বের করবে। তারা আশাবাদী এখনো দুই পক্ষের মধ্যে বাণিজ্য ও সুরক্ষা চুক্তি সম্ভব।
তারা বলেন, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও যুক্তরাজ্যের মধ্যে চলমান আলোচনার বিষয়ে আমরা ফোনকলে এ সত্যকে স্বাগত জানিয়েছি যে অনেক অগ্রগতি হয়েছে। তবুও তিনটি সমালোচনামূলক ইস্যুতে গুরুত্বপূর্ণ পার্থক্য রয়ে গেছে। সুষম প্রতিযোগিতামূলক ক্ষেত্র, গভর্ন্যান্স ও মাছ ধরার ইস্যুগুলো সমাধান না করা হলে কোনো চুক্তি সম্ভব নয় বলে উভয় পক্ষই জোর দিয়েছিল। এ পার্থক্যের গুরুতরতা স্বীকৃতি দেয়ার পরও আমরা সম্মত হয়েছি, আমাদের আলোচনা দলগুলো সমাধান করতে পারে কিনা, তা দেখার জন্য আরো একটি প্রচেষ্টা করা উচিত। সুতরাং আমরা আমাদের প্রধান আলোচকদের পুনরায় ব্রাসেলসে একত্র হওয়ার নির্দেশ দিচ্ছি। আমরা সোমবার সন্ধ্যায় আবারো কথা বলব।
আয়ারল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী মিশেল মার্টিন উভয় পক্ষকে একটি চুক্তিতে পৌঁছানোর জন্য প্রয়োজনীয় সমঝোতা করতে চাপ দিয়েছেন। তিনি টুইট করেছেন, আমি এ সত্যকে স্বাগত জানাই। আলোচকরা আগামীকাল (রোববার) ব্রাসেলসে ইইউ ও যুক্তরাজ্যের বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে আবার আলোচনা শুরু করবেন। এ চুক্তি প্রত্যেকের স্বার্থ রক্ষা করবে। এজন্য একটি চুক্তিতে পৌঁছানোর জন্য সর্বাত্মক প্রচেষ্টা করা উচিত। আলোচনার ঘনিষ্ঠ সূত্রগুলো জানিয়েছে, চূড়ান্ত রাজনৈতিক বিষয়গুলো সমাধান করা শক্ত। আর এজন্য পরিস্থিতি খুব গুরুতর।
ইইউর প্রধান আলোচক মিশেল বাহনিয়ে এক টুইটে বলেন, আমরা দেখব যে এগিয়ে যাওয়ার কোনো পথ আছে কিনা। কাজ অব্যাহত রয়েছে।