জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার ফর সিস্টেম সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের (সিএসএসই) তথ্য অনুযায়ী, আজ শুক্রবার সকাল পর্যন্ত বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬ কোটি ৯৫ লাখ ২৪ হাজার ৯৪৬ জনে। এদের মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ১৫ লাখ ৮০ হাজার ৭২৭ জনের। আর এ পর্যন্ত সেরে উঠেছেন ৪ কোটি ৪৮ লাখ ১১ হাজার ১৪৮ জন।
বিশ্বে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি যুক্তরাষ্ট্রে। শুক্রবার সকাল পর্যন্ত দেশটিতে আক্রান্তের সংখ্যা ১ কোটি ৫৫ লাখ ৯৯ হাজার ১২২ জন। আর এ মহামারিতে দেশটিতে মৃত্যু হয়েছে ২ লাখ ৯২ হাজার এক জনের।
যুক্তরাষ্ট্রের পর মৃত্যু বিবেচনায় করোনায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশ ব্রাজিল। আক্রান্তের দিক থেকে তৃতীয় স্থানে থাকলেও মৃত্যু বিবেচনায় দেশটির অবস্থান দ্বিতীয়। লাতিন আমেরিকার এই দেশটিতে এখন পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছেন ৬৭ লাখ ৮১ হাজার ৭৯৯ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ১ লাখ ৭৯ হাজার ৭৬৫ জনের।
আক্রান্তের দিক থেকে দ্বিতীয় স্থানে থাকা ভারত মৃত্যু বিবেচনায় আছে তৃতীয় স্থানে। এ পর্যন্ত দেশটিতে আক্রান্তের সংখ্যা ৯৭ লাখ ৬৭ হাজার ৩৭১ জন। আর মৃত্যু হয়েছে ১ লাখ ৪১ হাজার ৭৭২ জনের।
মৃত্যু বিবেচনায় যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিবেশী মেক্সিকো চতুর্থ স্থানে থাকলেও আক্রান্ত বিবেচনায় দেশটির অবস্থান ১২তম। মেক্সিকোতে শুক্রবার সকাল পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছেন ১২ লাখ ১৭ হাজার ১২৬ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ১ লাখ ১২ হাজার ৩২৬ জনের।
ইউরোপের দেশ যুক্তরাজ্য মৃত্যু বিবেচনায় রয়েছে পঞ্চম স্থানে, তবে আক্রান্তের দিক থেকে দেশটির অবস্থান ষষ্ঠ। এখন পর্যন্ত দেশটিতে আক্রান্তের সংখ্যা ১৭ লাখ ৯২ হাজার ৬১১ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৬৩ হাজার ১৭৯ জনের।
গত ৮ মার্চ বাংলাদেশে প্রথম করোনা রোগী শনাক্তের পর ১৮ মার্চ প্রথম একজনের মৃত্যুর কথা জানায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যানুযায়ী, বৃহস্পতিবার পর্যন্ত দেশে মোট করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ৪ লাখ ৮৫ হাজার ৯৬৫ জন। আর করোনভাইরাসে মোট মৃত্যু হয়েছে ৬ হাজার ৯৬৭ জনের।
গত বছরের ডিসেম্বরে চীন থেকে সংক্রমণ শুরু হওয়ার পর বিশ্বব্যাপী এ পর্যন্ত ১৯১টি দেশে ছড়িয়েছে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস। গত ১১ মার্চ করোনাভাইরাস সংকটকে মহামারি ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।