গতকাল বৃহস্পতিবার সৌদি প্রেস এজেন্সির পক্ষ থেকে একটি বিবৃতিতে একথা জানানো হয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, “সৌদি আরবে ফাইজার–বায়োনটেকের করোনা ভ্যাকসিনের রেজিস্ট্রেশনের জন্য অনুমোদন দিয়েছে সৌদি ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অথরিটি। করোনা রুখতে দেশের স্বাস্থ্যদফতর এবার এই টিকা বিদেশ থেকে আমদানি করে ব্যবহার করতে পারবে।” যদিও কবে থেকে দেশের সাধারণ নাগরিককে করোনার এই ভ্যাকসিনটি দেওয়া হবে তা জানানো হয়নি ওই বিবৃতিতে।
এর আগে টিকাটির অনুমতি দেওয়ার পর বরিস জনসনের সরকার জানিয়েছিল, “স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত সংস্থা মেডিসিনস অ্যান্ড হেলথ কেয়ার প্রোডাক্টস রেগুলেটরি অর্গানাইজেশন এই সম্ভাব্য প্রতিষেধক ব্যবহারের পরামর্শ দিয়েছে। সেই প্রস্তাব মেনে নেয় ব্রিটিশ সরকারও। আগামী সপ্তাহ থেকেই ব্রিটেনের সর্বত্র এই প্রতিষেধক মিলবে।”
এদিকে, নতুন এই ভ্যাকসিনটি নিয়ে কিন্তু কিছুটা বিতর্কও তৈরি হয়েছে। যাদের অ্যালার্জির ইতিহাস রয়েছে, তাদের ফাইজারের করোনা প্রতিষেধক না নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন ব্রিটেনের স্বাস্থ্যকর্তারা। কারণ যে সমস্ত মানুষ এই ভ্যাকসিন নিয়েছেন, তাদের মধ্যে দু’জনের আগেই অ্যালার্জি ছিল। টিকা নেওয়ার পর দু’জনের শরীরেই তীব্র প্রতিক্রিয়া হয়েছে। তারপরই এই সতর্কতামূলক পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
তবে টিকাকরণ শুরু হলেও পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে এই সিদ্ধান্তে সামান্য বদল আনা হয়েছে বলেই জানান, জাতীয় স্বাস্থ্য পরিষেবার মেডিক্যাল ডিরেক্টর স্টিফেন পোইস। তিনি জানান, অ্যালার্জিপ্রবণ দুই ব্যক্তির শারীরিক অবস্থা আপাতত স্থিতিশীল। দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠছেন তারা। তাদের সুস্থতার হারও স্বস্তিজনক। তবে আপাতত সতর্কতামূলক পদক্ষেপ হিসেবে অ্যালার্জির ইতিহাস আছে, এমন মানুষকে এই প্রতিষেধক দেওয়া যাবে না।