কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও পর্যবেক্ষক লীলা রশিদকে অগ্রণী ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের সভায় ঠিকমতো দায়িত্ব পালন করতে দেয়া হয় না বলে অভিযোগ উঠে। অভিযোগ উঠেছে, কথা বলার সময়ও তাকে আটকে দেয়া হতো। পাশাপাশি তার সঙ্গে আক্রমণাত্মক আচরণ করা হতো। আর এসব কারণ দেখিয়েই তিনি পদত্যাগ করেছেন।
এর আগে গত ১৭ আগস্ট অনলাইনে অনুষ্ঠিত অগ্রণী ব্যাংকের ৬৭৭তম পর্ষদ সভার সূত্র ধরেই ব্যাংকের চেয়্যারম্যান জায়েদ বখতের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেন লীলা রশিদ।
ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের ওই সভায় আফিয়া সিএনজি ফিলিং স্টেশন নামের একটি প্রতিষ্ঠানের এক কোটি টাকার ঋণ প্রস্তাব আলোচনায় ওঠে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কুটির, ক্ষুদ্র, ছোট ও মাঝারিদের (সিএমএসএমই) প্রণোদনা তহবিলের আওতায় এই ঋণ প্রদানের প্রস্তাব তোলা হয়। কিন্তু অনলাইন ওই সভায় উপস্থিত ছয় পরিচালকের মধ্যে তিনজন ঋণ না দেয়ার পক্ষে অবস্থান নেন। এরপরও ঋণটি যখন অনুমোদিত হচ্ছিল, তখন এ নিয়ে পর্যবেক্ষক লীলা রশিদ কথা বলতে চাইলে তাকে থামিয়ে দেন চেয়ারম্যান জায়েদ বখত। সভার পরদিন ১৮ আগস্ট গভর্নর ফজলে কবিরের কাছে এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ দেন এ পর্যবেক্ষক।
অভিযোগে ঘটনার কথা উল্লেখ করে লীলা রশিদ জানান, গত দুই মাসের বিভিন্ন সভায় তিনি লক্ষ্য করেছেন, প্রায়ই অন্য সদস্যদের মতামত উপেক্ষা করে চেয়ারম্যান নিজের মতামত চাপিয়ে দিচ্ছেন।
এদিকে গত সোমবার (৭ ডিসেম্বর) অগ্রণী ব্যাংকের চেয়ারম্যান পদে আবার জায়েদ বখতকে নিয়োগ চিঠি দেয় অর্থ মন্ত্রণালয়। আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ তাকে নিয়োগের ব্যবস্থা করতে ব্যাংকটির এমডি বরাবর এ চিঠি দেয় মন্ত্রণালয়।
জায়েদ বখত ২০১৪ সাল থেকে তিন বছর করে দুই দফায় ব্যাংকটির চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করে আসছেন। এবারের এই নিয়োগ নিয়ে তিনি তিন দফায় ৯ বছরের জন্য চেয়ারম্যান হলেন। অনেকেই ধারণা করছেন, জায়েদ বখতকে পুনরায় নিয়োগ দেয়ার কারণেই পদত্যাগ করেছেন লীলা রশিদ।