সর্বশেষ বিটকয়েনের মান আকাশচুম্বি হয়েছিল ২০১৭ সালে কিন্তু তখন এ খাত এড়িয়ে গিয়েছিলেন অনেক ধনাঢ্য বিনিয়োগকারী। ওয়ারেন বাফেট বিটকয়েনকে ‘মরীচিকা’ হিসেবে অভিহিত করেছিলেন এবং জ্যামি ডিমন এটাকে ‘ফাঁদ’ হিসেবে মন্তব্য করেছিলেন। তখন থেকে সার্বজনীন লেনদেনের মাধ্যম হিসেবে নিজেদের গ্রহণযোগ্যতা প্রমাণে হিমশিম খাচ্ছিল বিটকয়েন। তবে সাম্প্রতিক দিনগুলোতে প্রভাবশালী বিনিয়োগকারীরা বিটকয়েনে দ্বিতীয় দৃষ্টি দিচ্ছে। বিশেষ করে যখন পেপাল ও ভিসার মতো প্রভাবশালী লেনদেন প্রতিষ্ঠান ক্রিপ্টোকারেন্সি গ্রহণ শুরু করেছে তখন অন্যরা তার সম্ভাবনার সুযোগ নিতে চাচ্ছে।
মহামারীতে বিভিন্ন দেশের সরকার ও কেন্দ্রীয় ব্যাংক যখন নগদ অর্থপ্রবাহ বাড়াচ্ছে এবং সুদহার কমিয়ে শূন্যের কাছাকাছি নিয়ে আসছে তখন বিকল্প স্থিতিশীল সম্পদ হিসেবে ক্রিপ্টোকারেন্সি বিশ্বাসযোগ্যতা অর্জন করেছে বিনিয়োগকারীদের কাছে।
ক্রিপ্টোকারেন্সি লেনদেনকারী প্রতিষ্ঠান কয়েনমেট্রোর প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও কেভিন মারকো বলেন, সাধারণত সংকটের সময় মানুষ নগদ অর্থ মজুদ করতে চায়। কিন্তু প্রধান অর্থনীতিগুলো যখন তাদের মুদ্রার অবমূল্যায়ন করছে তখন কে নিজের কাছে প্রচুর নগদ অর্থ রাখবে?
তিনি আরো বলেন, কভিড-১৯ মহামারী, মার্কিন নির্বাচন, ব্রেক্সিট এবং সর্বোপরি ২০২০ সাল ডিজিটাল অর্থনীতি নিয়ে পূর্ব ধারণাগুলো ভেঙে দিয়েছে।