কয়েক বছর ধরে চীনের ওপর ব্যাপক চাপ তৈরি করেছে ট্রাম্প প্রশাসন। এমনকি নির্বাচনে হারার পরও চীনের বিষয়ে নিজের অবস্থান বদলাননি এ রিপাবলিকান। চীনের ওপর ট্রাম্প প্রশাসন যে চাপ তৈরি করেছে, তার মাঝে আমদানিতে ৩৭০ বিলিয়ন শুল্ক, কানাডাতে হুয়াওয়ে টেকনোলজিসের কর্মকর্তাকে গৃহবন্দি করে রাখা এবং কভিড-১৯ প্রাদুর্ভাবের জন্য চীনকে দায়ী করার বিষয়ও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
গত সপ্তাহেও অব্যাহত ছিল ট্রাম্পের চাপ প্রয়োগের ধারাবাহিকতা। যেখানে ট্রাম্প প্রশাসন ৬০টির বেশি চীনা কোম্পানিকে কালো তালিকাভুক্ত এবং যুক্তরাজ্যের প্রযুক্তিতে তাদের প্রবেশ ক্ষমতা সীমায়িত করেছে। বাণিজ্য বিভাগের এক বিবৃতিতে বলা হয়, জাতীয় নিরাপত্তাকে সুরক্ষিত করার জন্য এ ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
এদিকে বেইজিংয়ের আচরণের কারণে আরো কিছু দেশ চেপে বসেছে চীনের ওপর। যেমন ভারতের সীমান্তের মতো কৌশলগত অঞ্চলের দাবি নিয়ে সংঘাত কিংবা দক্ষিণ কোরিয়া এবং অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে অর্থনৈতিক দ্বন্দ্বও সুবিধা দিতে পারে বাইডেনকে।
চীন ইস্যুতে আগে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলে কাজ করা এসওয়ার প্রসাদ বলেন, চীনের বিরুদ্ধে ট্রাম্প প্রশাসনের বাণিজ্যিক নিষেধাজ্ঞাগুলোর সঙ্গে মিলিত হয়েছে চীনের আগ্রাসী ভূরাজনৈতিক কূটনীতির বিরুদ্ধে অন্য দেশগুলোর অবস্থান, যা বাইডেন প্রশাসনকে দ্বিপক্ষীয় দরকষাকষির সময় বেশ সুবিধাজনক অবস্থানে ঠেলে দেবে। তিনি আরো বলেন, এ নিষেধাজ্ঞাগুলো এরই মধ্যে বলবৎ হয়েছে এবং যুক্তরাষ্ট্রের ঘরোয়া রাজনৈতিক পরিস্থিতিও বাইডেন প্রশাসনকে দরকষাকষির ক্ষেত্রে প্রতিপক্ষের চেয়ে এগিয়ে রাখবে।
যদিও বাইডেন এবং অনেক ডেমোক্র্যাট নেতা এরই মধ্যে চীনকে চাপ দেয়ার ব্যাপারে ট্রাম্পের কৌশলের বিরুদ্ধে কথা বলেছেন। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে, সেই উপকরণগুলো বাইডেনের টেবিলেই থাকবে। আর দরকষাকষিতে দ্বন্দ্ব তৈরি হলে বাইডেন চাইলেই সেখানে ফিরে যেতে পারবেন। সূত্র ব্লুমবার্গ।