রাজধানী জাকার্তা থেকে ১৪০ কিলোমিটার পূর্বে নির্মিত বন্দরটি সরকারের অবকাঠামো প্রকল্পের অগ্রাধিকারের তালিকায় ছিল। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বৃহত্তম অর্থনীতি চাঙ্গা এবং জাকার্তার ব্যস্ততম তানজুং প্রিয়ক বন্দরের ওপর অতিরিক্ত চাপ কমানোর জন্য নতুন বন্দরটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ঠেকবে।
সুবাং শহরে পাতিমবান সমুদ্রবন্দর নির্মাণে ব্যয় হবে ৪৩ ট্রিলিয়ন রুপাইয়া বা ৩০৭ কোটি ডলার। প্রেসিডেন্ট প্রাসাদ থেকে অনলাইন বিবৃতিতে উইডোডো জানান, ইন্দোনেশিয়ার সবচেয়ে জনবহুল প্রদেশটির তিন ধাপের কৌশলগত প্রকল্পের প্রথম ধাপ সম্পন্ন হয়েছে।
তিনি বলেন, মহামারীর মধ্যেই জাতীয় কৌশলগত প্রকল্পের একটি পাতিমবান সম্পন্ন হয়েছে। কৌশলগত অবস্থানের কারণে আমি নিশ্চিত শিল্প উৎপাদন থেকে কৃষিসহ বিভিন্ন খাতের সংযোগ পয়েন্ট হিসেবে কাজ করবে পাতিমবান এবং দেশের রফতানি বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
জাপান সরকারের অর্থায়নে নির্মিত বন্দরটি ইন্দোনেশিয়ার অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার প্রক্রিয়া চাঙ্গা করবে বলে আশা করা হচ্ছে। তৃতীয় প্রান্তিকে ২২ বছরের মধ্যে প্রথম মন্দায় প্রবেশ করে ইন্দোনেশিয়া।
পরিবহনমন্ত্রী বুদি কারিয়া সুমাদি জানান, রোববার আনুষ্ঠানিকভাবে কার্যক্রম শুরুর আগে চলতি মাসেই বন্দরটির পরীক্ষামূলক কার্যক্রম চালু হয়েছিল।
তিনি বলেন, আনুষ্ঠানিকভাবে বন্দরের কাজ শুরুর প্রক্রিয়া হিসেবে যে পণ্য রফতানি হচ্ছে, তার মধ্যে রয়েছে টয়োটা ও দাইহাতসু নির্মিত ১৪০টি গাড়ি; যা ব্রুনেই দারুসসালামের দিকে যাত্রা করবে। সূত্র রয়টার্স।