যুক্তরাষ্ট্র-যুক্তরাজ্যসহ অন্যান্য দেশের ধারাবাহিকতায় গত সপ্তাহে ফাইজার-বায়োএনটেকের টিকার অনুমোদন দেয় সিঙ্গাপুর। বেলজিয়াম থেকে ভ্যাকসিনের চালান আসে সিঙ্গাপুরে। সিঙ্গাপুর এয়ারলাইনসের একটি উড়োজাহাজে করে এই টিকা আনা হয়।
২০২১ সালে সিঙ্গাপুরে প্রথম আট মাসের মধ্যে ৫৭ লাখ মানুষকে এই টিকার আওতায় আনার কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। স্বাস্থ্যকর্মী, বৃদ্ধ, হাসপাতালে ভর্তি রোগীদের অগ্রাধিকার দেয়া হবে। সোমবার টিকার প্রথম চালান হাতে পেয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী লি সিয়েন লুং। তিনি ফেসবুকে লেখেন, ‘টিকার প্রথম চালান সিঙ্গাপুরে এসেছে, আমি আনন্দিত।’
প্রধানমন্ত্রী লি সিয়েন লুং আরও লিখেছেন, একটা দীর্ঘ ও কষ্টকর বছর গেল। তার আশা, টিকা আসার খবর সিঙ্গাপুরবাসীকে উচ্ছ্বসিত করবে। আর ২০২১ সাল নিয়ে আশাবাদী হওয়া যাবে।
সিঙ্গাপুরে কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন নেয়ার বিষয়টি হবে ঐচ্ছিক। তবে প্রধানমন্ত্রী লি সিয়েন লুং জনসাধারণকে টিকা নেয়ার জন্য ব্যাপকভাবে উৎসাহিত করছেন। ফাইজার-বায়োএনটেকের টিকার দুটি ডোজ নিতে হয়। আর এই টিকা অন্তত মাইনাস ৭০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় সংরক্ষণ করতে হয়।
টিকা সংরক্ষণের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়েছে সিঙ্গাপুর। সেদেশের পরিবহনমন্ত্রী ওং ইয়ে কুং বলেন, টিকাগুলো সঠিকভাবে ফ্রিজিং করার জন্য স্থানীয়ভাবে প্রতিদিন চার টন শুকনো বরফ তৈরি করা হচ্ছে। সিঙ্গাপুরে ৫৮ হাজারের বেশি মানুষ করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন।