কিম জং উন-এর মৃত বাবা কিম জং ইল-ও ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। এখন এ পদে আসীন হওয়ার মাধ্যমে দলে তার ক্ষমতা আরও বাড়বে বলে প্রতীয়মান হচ্ছে। কেননা, এই পদটিকে আনুষ্ঠানিকভাবে ‘বিপ্লবের সর্বাধিনায়ক এবং নেতৃত্ব ও একতার কেন্দ্র’ হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
কিম জং উন সর্বসম্মতিক্রমে দলের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন। এর মধ্য দিয়ে আগামী পাঁচ বছরের জন্য তাকে দেশের কূটনৈতিক, সামরিক ও অর্থনৈতিক নীতি নির্ধারণের দায়িত্ব দিলো ক্ষমতাসীন দল।
রাজধানী পিয়ংইয়ংয়ে অনুষ্ঠিত কংগ্রেসে কিম অর্থনীতি পুনরুদ্ধারে অঙ্গীকার করেন। এ সময় তিনি স্বীকার করেন গত পাঁচ বছরে অর্থনৈতিক উন্নয়নে ব্যর্থ হয়েছেন।
বিশ্লেষকরা বলছেন, দলীয় কংগ্রেসের কথা বলা হলেও বাস্তবে উত্তর কোরিয়া রাজতান্ত্রিক পদ্ধতিতেই শাসিত হয়ে আসছে। ২০১১ সালে বাবার মৃত্যুর পর থেকে ৩৭ বছর বয়সী কিম জং উন-ই দেশটির একচ্ছত্র শাসক। পরিবারে তার ঘনিষ্ঠদের সরকারেও ব্যাপক প্রভাব রয়েছে বলে মনে করা হয়।