বৃহস্পতিবার (২২ জানুয়ারি) এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের দেয়া প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়, বৈদেশিক মুদ্রা বহনে পাসপোর্টে এনডোর্স সংক্রান্ত বিষয়ে প্রশ্ন ওঠায় তা স্পষ্ট করা হলো। তবে নির্ধারিত সীমা ভ্রমণের ক্ষেত্রে বছরে ৫০০ ইউএস ডলার বা সম পরিমাণের বৈদেশিক মুদ্রার বেশি হবে না। অবশ্য বৈদেশিক মুদ্রায় হিসাব থাকা কোম্পানি ও ব্যক্তির বেলায় পাসপোর্টে ডলার এনডোর্সমেন্ট করা লাগবে না। ঠিক তেমনি এনডোর্সমেন্ট ছাড়া মুদ্রা বহন করতে পারবে।
প্লাস্টিক মানি হিসেবে খ্যাত আন্তর্জাতিক কার্ডের মাধ্যমে ডলার বহন করে বিদেশ ভ্রমণের যাবতীয় ব্যয় এ মাধ্যমে পরিশোধ করা যায়। তবে বিপত্তি দেখা দেয় অনুমোদন প্রক্রিয়া নিয়ে। নিয়ম অনুযায়ী, বিদেশ ভ্রমণের বেলায় পাসপোর্টে ডলার এনডোর্সমেন্ট করতে হয়। এ জন্য সমপরিমাণ ডলার কিনতে হয় যা বহন করতে পারেন ভ্রমণকারী।
কিন্তু এখন অনেকেই কাগুজে ডলারের পরিবর্তে আন্তর্জাতিক কার্ডের অজুহাত দেখান। এ কার্ডে তার জন্য একটি সীমা নির্ধারিত থাকে যা বিদেশে খরচের পর দেশে এসেও সংশ্লিষ্ট ব্যাংকে অর্থ পরিশোধ করতে পারেন।
এখানে বিপত্তি তৈরি হয়, কার্ড থাকলে পাসপোর্টে এনডোর্সমেন্ট করা লাগবে কিনা। এ বিষয়ে বৃহস্পতিবারের ওই প্রজ্ঞাপনে কেন্দ্রীয় ব্যাংক জানায়, নগদ বা কার্ডে যে মাধ্যমেই বৈদেশিক মুদ্রা থাকুকনা কেন, অবশ্যই পাসপোর্টে এনডোর্সমেন্ট করা লাগবে। ভ্রমণ ব্যয় সংক্রান্ত সীমা ও অন্যান্য শর্ত ব্যক্তি এবং প্রতিষ্ঠানের বেলায় পূর্বের ন্যায় থাকবে।