বাংলাদেশের ক্রমাগত রফতানি বৃদ্ধি দেখে ভারত শিক্ষা নিতে পারে বলে নিজেদের বার্ষিক নথিতে উল্লেখ করেছে ভারতীয় অর্থ মন্ত্রণালয়। এতে বাংলাদেশ-ভারতের রফতানি খাতের বিভিন্ন পরিসংখ্যানগত তুলনা উল্লেখ করা হয়েছে। শুক্রবার ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য ইকোনমিক টাইমসের এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
ভারতীয় অর্থ মন্ত্রণালয়ের বার্ষিক নথি ‘ইকোনমিক সার্ভে’তে বলা হয়েছে, যেভাবে রফতানি বাড়ছে তাতে বাংলাদেশ শিগগিরই একটি প্রভাবশালী রফতানিকারক দেশ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করবে বলে মনে হচ্ছে।
এতে বলা হয়েছে, ২০১১ থেকে ২০১৯ সালের মধ্যে বাংলাদেশের সমন্বিত বার্ষিক প্রবৃদ্ধি (সিএজিআর) হয়েছে ৮ দশমিক ৬ শতাংশ, যা ভারতে ছিল মাত্র ০.৯ শতাংশ, আর গোটা বিশ্বে ০.৪ শতাংশ মাত্র।
২০১১ সালে যেখানে বৈশ্বিক রফতানিতে বাংলাদেশের অবদান ছিল মাত্র ০.১ শতাংশ, ২০১৯ সালে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ০.৩ শতাংশে।
২০১৫ সাল থেকে বাংলাদেশের মোট রফতানিতে দেশটির শীর্ষ পাঁচ পণ্যের (বস্ত্র, পোশাক, জুতা প্রভৃতি) অবদান ৯০ শতাংশেরও বেশি। এদিক থেকে ভারতের রফতানি খাত বেশি বৈচিত্র্যময়। দেশটির মোট রফতানিতে শীর্ষ পাঁচ পণ্যের অবদান ৪০ শতাংশের কাছাকাছি।
রফতানি বৃদ্ধির পাশাপাশি ভারতের সঙ্গে ধীরে ধীরে বাণিজ্য ঘাটতিও কমিয়ে আনছে বাংলাদেশ। ২০১৮-১৯ সালে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য ঘাটতির পরিমাণ ছিল প্রায় ১ হাজার ২৫ কোটি মার্কিন ডলার। কিন্তু ২০১৯-২০ সালে তা কমে দাঁড়িয়েছে ৯৪৬ কোটি ডলারে।
এসব তথ্যগুলো উল্লেখ করে ভারতীয় অর্থ মন্ত্রণালয় বলেছে, প্রতিযোগিতামূলক পণ্যগুলোতে বিশেষত্ব তৈরিতে বাংলাদেশকে দেখে শিক্ষা নিতে পারে ভারত।
ভারতীয় বাণিজ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশ হিসেবে বিশ্বের বেশ কিছু বাজারে শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকার পায়, যা দেশটির রফতানি বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখছে। উদীয়মান ভারত বা অন্য উন্নত দেশগুলো এধরনের সুবিধা পায় না।