করোনার সংক্রমণ রুখে দিতে গত বছরের বেশির ভাগ সময় নানা বিধিনিষেধের মধ্যে ছিল যুক্তরাজ্য। ঘরবন্দি থাকার এ সময় মানুষের অনলাইননির্ভরতা প্রযুক্তি ও অনলাইনে খুচরা বিক্রেতাদের আয় বৃদ্ধিতে অবদান রেখেছে। এ বিষয়টির ওপর দৃষ্টি দিয়ে অনলাইন কেনাকাটা এবং মহামারীতে লাভবান হওয়া সংস্থাগুলোতে কর আরোপ করতে যাচ্ছে ব্রিটিশ সরকার। একটি ফাঁস হওয়া ই-মেইলের বরাত দিয়ে ব্রিটিশ সংবাদপত্র সানডে টাইমস জানিয়েছে, অনলাইন বিক্রির কর কীভাবে কাজ করবে, তা নিয়ে আলোচনা করতে এরই মধ্যে সরকার সংস্থাগুলোকে তলব করেছে। এছাড়া ‘অত্যধিক মুনাফা কর’-এর পরিকল্পনাও করা হচ্ছে।
সংবাদপত্রটির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আগামী ৩ মার্চ নির্ধারিত বাজেট ঘোষণার আলোচনায় অর্থমন্ত্রী ঋষি সুনাক এ করের বিষয়টির ঘোষণা দেয়ার সম্ভাবনা নেই। বাজেটে মূলত মহামারীতে ক্ষতিগ্রস্ত সংস্থাগুলোর কর্মীদের বেতন দিতে সহায়তা করা ফোরলগ প্রোগ্রামের সময়সীমা বাড়ানো এবং ব্যবসার জন্য আরো সহায়তা দেয়ার বিষয়ে আলোকপাত করা হবে। এর পরিবর্তে চলতি বছরের দ্বিতীয়ার্ধে অনলাইন বিক্রিতে কর আরোপের বিষয়টির ঘোষণা আসতে পারে।
এমনিতেই নিয়ন্ত্রিত গ্রাহক ব্যয়ের এ সময়ে বাজেট ঘোষণা নিয়ে সুনাক চাপের মুখে রয়েছেন। চলতি বছরের বাজেট ঘাটতি ৫৫ হাজার কোটি ডলার ছাড়িয়েছে। মহামারীতে অর্থনৈতিক কার্যক্রম পুনরুদ্ধারে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর একক আর্থিক বছরে সবচেয়ে বেশি ঋণ নেয়ার পর তিনি এ বাজেট ঘোষণা করতে চলেছেন। অর্থনীতি পুনরুদ্ধার শুরু হলে তিনি অর্থনীতিকে আরো টেকসই করে তোলার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
গত মাসে প্রকাশিত ডাটা অনুযায়ী, গত এপ্রিলে শুরু হওয়া আর্থিক বছরে পাবলিক ঋণ গ্রহণ রেকর্ড ৩৭ হাজার ডলারে পৌঁছেছে। এ বিষয়ে তাত্ক্ষণিকভাবে সানডে টাইমসের পক্ষ থেকে যোগাযোগ করা হলেও দেশটির অর্থ মন্ত্রণালয় কোনো মন্তব্য জানায়নি। সূত্র রয়টার্স।