এখন পর্যন্ত কেউ ওইসব হামলার দায় স্বীকার করেনি।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদন থেকে এমনটি জানা যায়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, আফগানিস্তানে গত কয়েক সপ্তাহে প্রায় প্রতিদিনই কোথাও না কোথাও বিস্ফোরণ ঘটছে। যাতে সরকারি কর্মকর্তা, বিচারপতি, সাংবাদিক এবং সমাজকর্মীরা নিহত হয়েছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের উদ্যোগে কাতারে তালেবান ও আফগান সরকারের মধ্যে দেশে শান্তি ফিরিয়ে আনার পথনির্দেশনা তৈরির আলোচনা শুরু হওয়ার পর দেশটিতে হামলা ও বিস্ফোরণ কমার পরিবর্তে বরং তা বেড়ে গেছে।
যুক্তরাষ্ট্র ও তালেবানদের মধ্যে ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে কাতারে একটি চুক্তি হয়। ওই চুক্তি অনুযায়ী, তালেবানের সন্ত্রাসবাদবিরোধী অবস্থানের শর্তে ২০২১ সালের ১ মের আগেই আফগানিস্তান থেকে বিদেশি সেনা সরিয়ে নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। নতুন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন প্রশাসন ওই চুক্তি পুনঃপর্যালোচনা করে দেখছে।
পুলিশের একজন মুখপাত্র বলেন, দক্ষিণের কান্দাহার প্রদেশে একটি পুলিশ আউটপোস্ট লক্ষ্য করে গাড়ি বোমার বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। যে ঘটনায় সাত পুলিশ গুরুতর আহত হয়েছেন।
তার আগের রাতে কান্দাহার প্রদেশের আরগান্দাব জেলায় পুলিশের অভিযনে ‘১৮ তালেবান সন্ত্রাসী নিহত এবং আরো নয় জন আহত হয়েছে’ বলে জানায় দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়।
পূর্বের কুনার প্রদেশের চাপা ধারা জেলায় বিস্ফোরণে এক কমান্ডারসহ চার পুলিশ সদস্য নিহত হন।
আর জালালাবাদে রাস্তার পাশে পুঁতে রাখা বোমার বিস্ফোরণে তিন পথচারী আহত হয়েছেন।