মানবিক সহায়তা বিষয়ক মন্ত্রী স্টিভ বিকায়ি বলেন, দুর্ঘটনার সময় ওই নৌকাতে ৭শ জন যাত্রী ছিল। নৌকাটি মাই নমবি প্রদেশের লংগোলা ইকোতি গ্রামের কাছে ডুবে গেছে।
এখন পর্যন্ত উদ্ধারকারী দল ৬০ জনের মরদেহ উদ্ধার করেছে। এছাড়া ৩শ জনকে জীবিত উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। দুর্ঘটনার পর থেকে এখনও বহু মানুষ নিখোঁজ রয়েছে।
রাজধানী কিনশাসা থেকে ইকুয়াটর প্রদেশের উদ্দেশে ওই নৌকাটি যাত্রা করেছিল। স্টিভ বিকায়ি বলেন, অতিরিক্ত মালামাল এবং ধারণক্ষমতার বেশি যাত্রী নেয়ার কারণেই ওই নৌকাটি দুর্ঘটনা কবলিত হয়েছে।
খনিজ সমৃদ্ধ কঙ্গোতে প্রায়ই নৌকাডুবির ঘটনা ঘটে থাকে। অতিরিক্ত যাত্রী এবং মালপত্র বোঝাইয়ের কারণেই এসব দুর্ঘটনা ঘটছে। এছাড়া নৌকায় করে যাতায়াত করা অধিকাংশ যাত্রীই লাইফ জ্যাকেট পরেন না। ফলে নৌকাডুবে গেলে অনেককেই বাঁচানো সম্ভব হয় না।
গত মাসে কিভু লেকে একটি যাত্রীবাহী নৌকাডুবির ঘটনায় কমপক্ষে তিনজনের মৃত্যু হয়। এদের মধ্যে একজন নারী এবং বাকি দু'জন শিশু।
এর আগে গত বছরের মে মাসে কিভু লেকে অপর এক নৌকাডুবির ঘটনায় আট বছর বয়সী এক মেয়ে শিশুসহ ১০ জনের মৃত্যু হয়। ২০১০ সালের জুলাই মাসে পশ্চিমাঞ্চলীয় বানদুন্দু প্রদেশে একটি নৌকাডুবির ঘটনায় ১৩৫ জনের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়।