বুধবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশ ব্যাংকের আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও বাজার বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে দেশের সকল আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহীদের কাছে পাঠানো হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, যে সকল আর্থিক প্রতিষ্ঠান সংরক্ষিত সম্পদ না রেখে বাংলাদেশ ব্যাংক হতে ঘাটতি সমন্বয়ে ডেফারেল সুবিধা ভোগ করছে, সে সকল আর্থিক প্রতিষ্ঠান সম্পূর্ণ সম্পদ সংরক্ষণের পূর্বে কোনো প্রকার নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করবে না। তবে বাংলাদেশ ব্যাংকের পূর্বানূমোদন সাপেক্ষে সর্বোচ্চ ৫ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ ঘোষণা করতে পারবে।
এতে আরও বলা হয়, যেসব আর্থিক প্রতিষ্ঠানের শ্রেণিকৃত ঋণের হার ১০ শতাংশের বেশি রয়েছে, সেসব আর্থিক প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ ব্যাংকের পূর্বানুমোদন ব্যতীত কোন প্রকার লভ্যাংশ ঘোষণা করবে না। এছাড়া যে সকল আর্থিক প্রতিষ্ঠানের মূলধন পর্যাপ্ততা অনুপাত (সিএআর) ১০ শতাংশের কম এবং শ্রেণিকৃত ঋণের হার ১০ শতাংশের বেশি রয়েছে, সে সকল আর্থিক প্রতিষ্ঠান কোন প্রকার লভ্যাংশ ঘোষণা করতে পারবে না।
সামগ্রিক পরিস্থিতি বিবেচনায় আর্থিক প্রতিষ্ঠানসমূহের নগদ লভ্যাংশের হার ১৫ শতাংশের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখতে হবে বলেও প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়।
প্রজ্ঞাপনে এ নির্দেশনা অবিলম্বে কার্যকর করতে বলা হয়েছ এবং পরবর্তী নিদের্শনা না দেয়া পর্যন্ত চলমান রাখতে বলা হয়েছে।
আর্থিক প্রতিষ্ঠান আইন, ১৯৯৩ এর ১৮(ছ) ধারায় প্রদত্ত ক্ষমতাবলে এ নির্দেশনা জারি করা হয়েছে।