১. দীর্ঘ সময় টানা কাজ করতে হলে মাঝে মাঝে সেখানেই স্ট্রেচিং সেরে নিতে পারেন। হাত-পা ঘোরানোর মতো ব্যায়াম করে নেওয়া যায়। ঘাড়ের ব্যায়ামও সেরে নিতে পারেন সহজেই।
২. কোথাও লাইনে অনেকক্ষণ দাঁড়াতে হলে খানিকক্ষণ বাঁ পায়ের উপরে দাঁড়ান, খানিকক্ষণ ডান পায়ের উপরে। এ ভাবে ভারসাম্য রাখলে পায়ের পেশির গঠন মজবুত হবে।
৩. ফোনে কথা বলার সময় বসে না থেকে হাঁটতে-হাঁটতে কথা বলুন।
৪. রান্না করার সময়েও ভাত বসিয়ে বা অন্য রান্না বসিয়ে কয়েকটা ওয়াল পুশআপ বা কাফ স্ট্রেচ সেরে নিতে পারেন।
৫. দাঁত মাজতে মাজতে ১০-১২টা স্কোয়াট করে নিন।
৬. টিভি দেখতে দেখতেও ট্রেডমিলে হেঁটে নিতে পারেন বা প্যাডলিং করে নিতে পারেন। ফ্রি-হ্যান্ড কিছু ব্যায়াম, কাউচ পুশআপস, স্টার জাম্পও করে নেওয়া যায়।
শরীরে ফিটনেস ধরে রাখতে এসব অভ্যাসের পাশাপাশি কিছু টিপস মানতে পারেন। যেমন-
১. একা পরিকল্পনা করলে বেশির ভাগ সময়েই তা আর হয়ে ওঠে না। তাই পাড়ার কোনও বন্ধু বা প্রতিবেশীকে আপনার ফিটনেস রুটিনে সঙ্গে নিতে পারেন। একসঙ্গে মর্নিং ওয়াকে বা দৌড়াতে যাওয়ার পরিকল্পনা করুন।
২. প্রতিদিনের রুটিন ডায়েরিতে লিখে রাখুন। আর সেখানেই কখন কী ব্যায়াম করবেন তাও লিখে রাখুন। তা হলে সেটা রিমাইন্ডার হিসেবে কাজ করবে।
৩. কিছু ব্যায়ামের তালিকা তৈরি করে নিন, যেগুলি খালি হাতে বসে বা দাঁড়িয়ে করা যায়। একটু ফাঁক পেলেই হাঁটুন বা হালকা ব্যায়াম করুন।
৪. বাড়িতে সব সময় বাদাম রাখুন। অফিসে বা বাইরে কোথাও গেলে টিফিন বক্সে করে নিতে পারেন। যেহেতু সারা দিনের পরিশ্রমে অনেকটাই এনার্জি চলে যায়, তাই ক্লান্ত লাগলে তিন-চারটে বাদাম মুখে দিতে পারেন। দুধের মধ্যে বাদামের গুঁড়া মিশিয়েও খেতে পারেন।