স্থানীয় সময় শনিবার (৬ মার্চ) সিনেটে এটি পাস হয়। তবে এদিন রিপাবলিকান দলের সিনেটরদের প্রত্যেকেই এই বিলের বিরোধিতা করেন। খবর: বিবিসি।
প্রেসিডেন্ট হিসেবে ক্ষমতা গ্রহণের এক সপ্তাহ আগেই বিশাল অঙ্কের এই প্রণোদনা প্যাকেজের পরিকল্পনা জানিয়েছিলেন বাইডেন। এর আগে গত ২৭ ফেব্রুয়ারি মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের এই করোনা তহবিলের অনুমোদন দেয় কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ প্রতিনিধি পরিষদ। ডেমোক্র্যাট নিয়ন্ত্রিত প্রতিনিধি পরিষদ মনে করছে আগামী মঙ্গলবার বিলটি অনুমোদন পাবে।
বিলটি সিনেটে পাস হওয়ার পর প্রেসিডেন্ট বাইডেন এটিকে ‘অগ্রগতির আকেটি বড় পদক্ষেপ’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন। এসময় তিনি আবারও দেশবাসীর জন্য কাজ করার প্রতিজ্ঞা করেন।
বিলটি পাসের আগে শনিবার দীর্ঘ ২৭ ঘণ্টার অধিবেশন চলে। ভোটাভুটিতে বিলের পক্ষে ৫০টি আর বিপক্ষে পড়ে ৪৯টি ভোট। এর মধ্যে সিনেটরদের প্রত্যেকেই এই বিলের বিরোধিতা করেন।
রিপাবলিকানরা বলেন, বিশাল এই ত্রাণ তহবিল অপ্রয়োজনীয় এবং করোনা মহামারির সঙ্গে এটি সম্পৃক্ত নয়। তবে এই বিলে ডেমোক্র্যাটদের বিভিন্ন বিষয়কে প্রাধান্য দেয়া হয়েছে বলে এর আগে দাবি করেন বেশ কয়েকজন রিপাবলিকান সদস্য।
ডেমোক্র্যাটদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ভ্যাকসিন কার্যক্রম এবং করোনা পরীক্ষাকে আরও গতিশীল এবং অর্থনীতিকে স্থিতিশীল করতেই এই প্রণোদনা প্যাকেজের পরিকল্পনা করা হয়েছে। ত্রাণ প্যাকেজের আওতায় করোনা মোকাবিলায় খরচ করা হবে ৪১২ বিলিয়ন ডলার আর ছোট ব্যবসার ক্ষেত্রে থাকছে ৪৪০ বিলিয়ন ডলার।
এই বিলের ফলে কমপক্ষে ১০ লাখ বাংলাদেশি আমেরিকানসহ সাড়ে ৮ কোটি মার্কিন নাগরিক উপকৃত হবেন বলে মনে করা হচ্ছে। পর্বতসম এই বিলে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান আরও দৃঢ় হবে বলে আশা প্রকাশ করছেন প্রেসিডেন্ট বাইডেন।