বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদন থেকে এমনটি জানা যায়।
পাঁচ বছর কারাদণ্ডের সর্বশেষ বছর দাতব্য কর্মী নাজনীন গৃহবন্দী অবস্থায় কাটান। তার গোড়ালিতে ইলেকট্রিক ট্যাগ লাগানো হয়। পাঁচ বছর সাজা পূর্ণ হবার পর তার ইলেকট্রিক ট্যাগ মুক্ত করা হয়েছে।
নাজনীন জাঘরি র্যাটক্লিফ থমসন রয়টার্স ফাউন্ডেশনের প্রকল্প ব্যবস্থাপক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। ২০১৬ সালের এপ্রিলে ইরান সরকার তাকে তেহরান বিমানবন্দর থেকে আটক করে। পরে তার বিরুদ্ধে সরকারকে উল্টে ফেলার অভিযোগ গঠন করা হয়।
পাঁচ বছর কারাদণ্ডের বেশিরভাগ সময় তিনি এভিন কারাগারে কাটান। গত মার্চে করোনাভাইরাস মহামারির কারণে তাকে কারাগার থেকে মুক্ত করে গৃহবন্দী রাখা হয়।
নাজনীনের আইনজীবী হোজ্জাত কারমানি ইরানিয়ান একটি ওয়েবসাইটকে বলেন, গত বছর ইরানের সর্বোচ্চ নেতা কর্তৃক তাকে ক্ষমা করে দেয়া হয়। তবে তার গোড়ালিতে ইলেকট্রনিক ট্যাগসহ তাকে গৃহবন্দী করে রাখা হয়।
তার মুক্তির বিষয়ে ইরানের বিচার বিভাগ তাৎক্ষণিকভাবে কোনো মন্তব্য করেনি।