গত চার দিনে ইলন মাস্কের সম্পদের পরিমাণ কমেছে ২ হাজার ৭০০ কোটি ডলার, বাংলাদেশি টাকায় যা ২ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকার মতো। কদিন আগেই যেখানে শীর্ষ ধনী বেজোসের চেয়ে সম্পদে এগিয়ে ছিলেন, এখন সেখানে বেজোসের চেয়ে তাঁর সম্পদ কমে গেছে ২ হাজার কোটি ডলার।
গত সপ্তাহে বৈদ্যুতিক গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান টেসলার শেয়ারের দর কমেছে সাড়ে ১১ শতাংশ। ইলন মাস্কের হাতে রয়েছে টেসলার প্রায় ১৮ শতাংশ শেয়ার। তাই এই লোকসানের ধাক্কা ভালোই পড়েছে তাঁর ওপর। ইলন মাস্কের সম্পদ কমেছে ২ হাজার ৭০০ কোটি ডলার, যা কিনা বিশ্বের ৫২তম শীর্ষ ধনী জেমস ডাইসনের মোট সম্পদের সমান। বর্তমানে ইলন মাস্কের সম্পদের পরিমাণ ১৫ হাজার ৭০০ কোটি ডলার, অন্যদিকে শীর্ষ ধনী বেজোসের সম্পদের পরিমাণ ১৭ হাজার ৭০০ কোটি ডলার। অবশ্য মাইক্রোসফটের প্রতিষ্ঠাতা বিল গেটসের চেয়ে এখনো ২ হাজার ১০০ কোটি ডলার এগিয়ে আছেন ইলন মাস্ক। ব্লুমবার্গ বিলিয়নিয়ার ইনডেক্স অনুযায়ী বিশ্বের শীর্ষ ধনী এখন বেজোস, এর পরেই আছেন ইলন মাস্ক এবং তৃতীয় অবস্থানে আছেন বিল গেটস।
অন্যদিকে, ফোবর্সের রিয়েল টাইম বিলিয়নিয়ারের তালিকায় ইলন মাস্ক চলে এসেছেন তৃতীয় নম্বরে। ওদের তালিকায় দ্বিতীয় শীর্ষ ধনী এখন প্যারিসভিত্তিক বিলাসবহুল পণ্য প্রস্তুতকারক এলভিএমএইচ কোম্পানির চেয়ারম্যান বার্নার্ড আরনল্ট।
মজার বিষয় হচ্ছে ইলন মাস্কের সম্পদের সিংহভাগই এসেছে ২০২০ সালে। অর্থাৎ করোনার সময়। ওই বছরে টেসলার শেয়ারের দর বেড়েছে প্রায় ৭৪৩ শতাংশ। পুঁজিবাজারে মূল্যবান কোম্পানির তালিকায় ৫ নম্বরে চলে আসে টেসলা। এ ছাড়া ২০২১ সালের শুরুতেও শেয়ারের দর বাড়ছিল ব্যাপকভাবে। ২৬ জানুয়ারি পর্যন্ত রেকর্ড ২৬ শতাংশ বাড়ে শেয়ারের দর। ধনীর তালিকায় শীর্ষস্থান নিয়ে নেন ইলন মাস্ক।
তবে এরপরই কমতে থাকে টেসলার শেয়ারের দর। এই কমার কারণে মূল্যবান কোম্পানির তালিকায় টেসলার অবস্থান চলে আসে ৭ নম্বরে। টেসলার আগে উঠে আসে মার্ক জাকারবার্গের ফেসবুক ও ওয়ারেন বাফেটের বার্কশায়ার হ্যাথওয়ে। তবে ইলন মাস্ক ডুবছেন, এখনো এমনটা বলার কোনো অবকাশ নেই। কারণ, অ্যাডভেঞ্চারপ্রবণ মানসিকতার বিনিয়োগকারী ইলন মাস্কের কর্মকাণ্ড অন্য ধনীর চেয়ে আলাদা। সেই সঙ্গে টেসলা থেকে তাঁর যা আয় আসে, তার মাধ্যমে সহজেই ২০২১ সালটা ভালো অবস্থানে থেকেই কেটে যাবে ইলন মাস্কের। সূত্র: সিএনএন।