বুধবার (১০ মার্চ) জার্মান সংবাদমাধ্যম ডয়চে ভেলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, চাঁদে গবেষণার জন্য চীনের সঙ্গে সমঝোতাপত্র সই করেছে রাশিয়া। দুই দেশ মিলে চাঁদে একটি বৈজ্ঞানিক কেন্দ্র তৈরি করবে। সেখানে চাঁদের মাটিতে ও তার কক্ষে জটিল গবেষণা করার পরিকাঠামো থাকবে।
দুই দেশের যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, চীন ও রাশিয়া একসঙ্গে মিলে পুরো পরিকল্পনা করেছে এবং তার রূপায়ণও একসঙ্গে হবে।
রুশ সংবাদসংস্থা ইন্টারফ্যাক্স জানিয়েছে, চীনের রাষ্ট্রদূতও জানিয়েছেন, দুই দেশ চাঁদে কেন্দ্র স্থাপন করতে চলেছে।
২০২০ সালের জুলাই মাসে রাশিয়ার মহাকাশ-গবেষণা সংস্থার প্রধান দিমিত্রি রগোজিন বলেছিলেন, তার দেশ ও চীন একসঙ্গে চাঁদে গবেষণা করতে চায়। সেজন্যই চাঁদে একটি মহাকাশকেন্দ্র তৈরি করতে চান তারা।
তিনি বলেন, মহাকাশ গবেষণার ক্ষেত্রে চীন সম্প্রতি খুবই উন্নতি করেছে। তাই তাদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে চললে রাশিয়া লাভবান হবে।
২০১৪ থেকেই রাশিয়া ও চীন কাছাকাছি এসেছে। সে সময় রাশিয়ার ইউক্রেন দখল করে নেওয়ার পর পশ্চিমা দেশগুলোর সঙ্গে তাদের সম্পর্ক খারাপ হওয়া শুরু। চীনের সঙ্গেও নানা কারণে অ্যামেরিকা ও ইউরোপের দেশগুলোর সম্পর্কে টানাপোড়েন দেখা দিয়েছে। তারপরই চীন ও রাশিয়া নিজেদের মধ্যে সহযোগিতার হাত বাড়িয়েছে। জাতিসংঘেও অনেক সময়ই তাদের এই সখ্য নজরে এসেছে।
ফ্রান্স এখন মহাকাশ নিয়ে সামরিক মহড়া শুরু করেছে। তাদের সাহায্য করছে অ্যামেরিকা ও জার্মানি। ফলে মহাকাশ নিয়েও উন্নত দেশগুলির মধ্যে প্রতিযোগিতা ও প্রতিদ্বন্দ্বিতা বাড়ছে। এই পরিপ্রেক্ষিতে চাঁদে চীন ও রাশিয়ার যৌথ মহাকাশকেন্দ্র খুবই তাৎপর্যপূর্ণ। সূত্র: ডয়চে ভেলে।