জানা গেছে, ইউরোপে এ পর্যন্ত প্রায় ৫০ লাখ মানুষ অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির গবেষকদের সহায়তায় তৈরি অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিন নিয়েছেন। এর মধ্যে ৩০ জনের শরীরে ভ্যাকসিন গ্রহণের পর রক্ত জমাট বেঁধেছে বলে সম্প্রতি অভিযোগ উঠেছে।
এর জেরে ডেনমার্ক, নরওয়ে ও আইসল্যান্ড ভ্যাকসিনটির ব্যবহার সাময়িক বন্ধ ঘোষণা করেছে। এছাড়া, ইতালি এবং অস্ট্রিয়া বাড়তি সতর্কতা হিসেবে ভ্যাকসিনটির একটি নির্দিষ্ট ব্যাচের ডোজ প্রয়োগ বন্ধ রেখেছে।
এশিয়ার প্রথম দেশ হিসেবে অ্যাস্ট্রাজেনেকা ভ্যাকসিন ব্যবহার স্থগিত করেছে থাইল্যান্ড। শুক্রবার দেশটির প্রধানমন্ত্রী নিজে ভ্যাকসিন গ্রহণের মাধ্যমে এই কর্মসূচি শুরু করার কথা ছিল। তবে সেই পরিকল্পনা আপাতত বাতিল করা হয়েছে।
থাইল্যান্ডের জনস্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলছে, দেশটিতে করোনার সংক্রমণ কম এবং আপাতত নির্ভর করার মতো অন্য ভ্যাকসিন যথেষ্ট পরিমাণে হাতে থাকায় ঝুঁকি এড়াতে এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা।
এই তালিকায় সবশেষ যোগ হয়েছে বুলগেরিয়া। অ্যাস্ট্রাজেনেকা ভ্যাকসিন নিরাপদ কি-না তা নিশ্চিত করতে ইউরোপীয় ওষুধ সংস্থার (ইএমএ) কাছে লিখিত বিবৃতিও দাবি করেছে দেশটি।
অবশ্য গত বৃহস্পতিবারই ইএমএ বলেছে, ভ্যাকসিনের প্রভাবে রক্ত জমাট বেঁধেছে, এমন কোনও প্রমাণ নেই। পাশাপাশি তারা আবারও মনে করিয়ে দিয়েছে. ভ্যাকসিন গ্রহণে ঝুঁকির চেয়ে উপকারই বেশি।
রক্তজমাট বাঁধার অভিযোগের প্রেক্ষিতে অ্যাস্ট্রাজেনেকা বলেছে, ভ্যাকসিনটি নিরাপদ কি-না তা ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের সময়ই ব্যাপকভাবে পরীক্ষা করা হয়েছে।
বাকি দেশগুলোর মধ্যে পর্তুগাল, অস্ট্রেলিয়া, মেক্সিকো ও ফিলিপাইন জানিয়েছে, তারা অ্যাস্ট্রাজেনেকা ভ্যাকসিন ব্যবহার স্থগিত করবে না। সূত্র বিবিসি।