পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় হুইলচেয়ারে বসে সভা করবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা। তাই সভামঞ্চে তাঁকে হুইলচেয়ার নিয়ে বসার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। হুইলচেয়ার নিয়ে বসার বিশেষ ব্যবস্থা থাকছে তাঁর গাড়িতেও।
গত বুধবার মমতা পশ্চিমবঙ্গের পূর্ব মেদিনীপুর জেলার নন্দীগ্রাম বিধানসভা আসনে তাঁর নির্বাচনী মনোনয়নপত্র জমা দেন। বিভিন্ন মন্দিরে পূজা দিয়ে নন্দীগ্রামে ভাড়া করা বাড়িতে ফেরার সময় গাড়ির দরজার সঙ্গে আঘাত লেগে আহত হন তিনি। এরপর তাঁকে ভর্তি করা হয় কলকাতার পিজি হাসপাতালে। করা হয় বাঁ পায়ে প্লাস্টার। তাঁর চিকিৎসায় গঠিত মেডিকেল টিম গত শুক্রবার দুপুরে পরীক্ষা করে জানায়, মমতা সুস্থ আছেন। চিকিৎসায় ভালো সাড়া দিচ্ছেন। পায়ের প্লাস্টার অপসারণ করে নতুন করে প্লাস্টার করে দেওয়া হয়। এরপর মমতার অনুরোধে শুক্রবার সন্ধ্যায় হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয় তাঁকে।
তৃণমূল কংগ্রেস জানায়, আজ থেকে হুইলচেয়ারে বসে শুরু হতে যাওয়া প্রচারযুদ্ধে মমতা প্রথম সভা করবেন দুর্গাপুরে। আগামীকাল সোমবার তিনি সভা করবেন পুরুলিয়ার ঝালদা, বলরামপুরে; মঙ্গলবার বাঁকুড়ার মেজিয়া, ছাতনা ও রাইপুরে। বুধবার ঝাড়গ্রামে করবেন দুটি সভা। সেখান থেকে কলকাতায় ফিরে একই দিন সন্ধ্যায় প্রকাশ করবেন নির্বাচনী ইশতেহার।
আজ ১৪ মার্চ ঐতিহাসিক নন্দীগ্রাম দিবসের স্মরণে দুপুরে কলকাতায় আয়োজন করা হয়েছে বিশাল মিছিলের। এতে নেতৃত্ব দেবেন যুব তৃণমূল কংগ্রেসের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সভাপতি সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। মিছিল শুরু হবে গান্ধীমূর্তির পাদদেশ থেকে। শেষ হবে হাজরায় গিয়ে। এদিনই মমতার নির্বাচনী ইশতেহার প্রকাশ করার কথা থাকলে তা পিছিয়ে আগামী বুধবার দিন ধার্য করা হয়েছে।
এবার মমতার নির্বাচনী ইশতেহারে থাকছে নতুন চমক ‘দুয়ারে রেশন’ কর্মসূচি। অর্থাৎ রেশন তুলতে আর দোকানে যেতে হবে না মানুষকে। মমতার তৃণমূল কংগ্রেস আবার ক্ষমতায় গেলে রাজ্য সরকারই বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দেবে এই রোশন।