চিঠিতে বলা হয়েছে, করোনা মহামারির বিরুদ্ধে লড়াই এখন বিশ্বের সবচেয়ে চাপের কাজ। জাং জুন বলেন, করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে জয়ের জন্য ভ্যাকসিনগুলোই হচ্ছে সবচেয়ে শক্তিশালী অস্ত্র। চীন টিকার ন্যায়সঙ্গত বণ্টনকে বিশেষত উন্নয়নশীল দেশগুলোতে এর সাশ্রয়ী অভিগম্যতার বিষয়টিকে অত্যন্ত গুরুত্ব দেয়। ১৫ মার্চ পর্যন্ত বেইজিং ৬৯টি দেশ এবং দুইটি আন্তর্জাতিক সংস্থাকে ভ্যাকসিন সহায়তা সরবরাহ করেছে। ২৮টি দেশে ভ্যাকসিন রফতানি করা হয়েছে। আরও অনেক দেশ ও লোকজন চীনা ভ্যাকসিন থেকে উপকৃত হচ্ছে।
জাতিসংঘ শান্তিরক্ষীদের জন্য চীন অনুদান হিসেবে টিকা দেওয়ার কথা বললেও তারা ঠিক কোন ভ্যাকসিনটি সরবরাহ করতে আগ্রহী সেটি জানানো হয়নি।
২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের হুবেই প্রদেশের রাজধানী উহান থেকে ছড়িয়ে পড়ে করোনাভাইরাস। এক পর্যায়ে উৎপত্তিস্থল চীনে ভাইরাসটির প্রাদুর্ভাব কমলেও বিশ্বের অন্যান্য দেশে এর প্রকোপ বাড়তে শুরু করে। চীনের বাইরে করোনাভাইরাসের প্রকোপ ১৩ গুণ বৃদ্ধি পাওয়ার প্রেক্ষাপটে গত ১১ মার্চ দুনিয়াজুড়ে মহামারি ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। তবে আশার কথা হচ্ছে, এখন আক্রান্তের পর সুস্থ হওয়ার হার দ্রুত বাড়ছে। এরইমধ্যে করোনার একাধিক টিকাও আবিষ্কৃত হয়েছে।
ওয়ার্ল্ডোমিটারস-এর তথ্য অনুযায়ী, করোনার উৎপত্তিস্থল চীনে আক্রান্তের সংখ্যা ৯০ হাজার ৪৯। এর মধ্যে চার হাজার ৬৩৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। যদিও দেশটির বিরুদ্ধে প্রকৃত পরিস্থিতি গোপন করার অভিযোগ রয়েছে। উহানের একজন স্বেচ্ছাসেবী বলেন, ‘বুদ্ধি-বিবেচনাসম্পন্ন যেকোনও মানুষ এই সংখ্যা (সরকারি পরিসংখ্যান) নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করবেন।’