আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদন থেকে এমনটি জানা যায়।
দেশটিতে মঙ্গলবার নতুন করে ২ হাজার ৮৪১ জনের মৃত্যু হয়েছে যা একদিনে সর্বোচ্চ। সাও পাওলোতে একদিনেই ৬৭৯ জনের মৃত্যু হয়েছে যা রাজ্যে সর্বোচ্চ রেকর্ড।
এখন পর্যন্ত করোনা সংক্রমণে বিশ্বে শীর্ষ অবস্থানে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এই তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ব্রাজিল। ওয়ার্ল্ডোমিটারের পরিসংখ্যান বলছে, ব্রাজিলে এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ১ কোটি ১৬ লাখ ৯ হাজার ৬০১। এর মধ্যে মারা গেছে ২ লাখ ৮২ হাজার ৪শ জন।
দেশটিতে ইতোমধ্যেই করোনা থেকে সুস্থ হয়ে উঠেছে ১ কোটি ২ লাখ ৪ হাজার ৫৪১। বর্তমানে সেখানে অ্যাক্টিভ কেসের সংখ্যা ১১ লাখ ২২ হাজার ৬৬০ জন। এছাড়া আশঙ্কাজনক অবস্থায় রয়েছে ৮ হাজার ৩১৮ জন।
বুধবার আনুষ্ঠানিকভাবে দায়িত্ব গ্রহণ করবেন দেশটির নতুন স্বাস্থ্যমন্ত্রী মারসেলো কুয়েইরোগা। করোনা মহামারির মধ্যে একের পর এক স্বাস্থ্যমন্ত্রীর পদত্যাগের ঘটনা ঘটেছে দেশটিতে। বর্তমান সরকারের চতুর্থ স্বাস্থ্যমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেবেন মারসেলো।
গত সোমবার নতুন স্বাস্থ্যমন্ত্রীর নাম ঘোষণা করেন দেশটির প্রেসিডেন্ট জেইর বোলসোনারো। করোনা মহামারি পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে না পারার দায়ে শুরু থেকেই দেশে এবং দেশের বাইরে সমালোচিত হয়ে আসছেন বোলসোনারো।
বিশ্বের বেশিরভাগ দেশই যখন করোনা পরিস্থিতি ঠেকাতে কঠোর লকডাউন জারি করেছে তখন বোলসোনারো ছিলেন লকডাউন এবং মাস্কের বিরোধী। তার মতে কঠোর অবস্থান নিলে দেশের অর্থনৈতি অবস্থা ভেঙে পড়বে। তিনি নিজে করোনায় আক্রান্ত হলেও তাকে দেশজুড়ে কড়াকড়ি আরোপের বিষয়ে ইতিবাচক দেখা যায়নি।
এদিকে, মঙ্গলবার গণমাধ্যমে দেয়া বিবৃতিতে নতুন স্বাস্থ্যমন্ত্রী মারসেলো দেশের জনসাধারণকে মাস্ক পরা এবং বার বার হাত ধোয়ার পরামর্শ দিয়েছেন।